বোন নিহত, ভাই কাতরাচ্ছে হাসপাতালে
আর কোনোদিন একসঙ্গে ছবি তুলবে না ওরা
অমিতাভ অপু, ভোলা
প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২৫, ০৯:১২ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ভোলার দৌলতখানে গ্রামের বাড়িতে স্কুল ছুটিতে এসে ভাইবোনের এক সঙ্গে আর ছবি তোলা হবে না। একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না হয়েছে পরিবারে। দক্ষিণ জয়নগর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আশরাফুল ইসলামের মেয়ে তাহিয়া তাবাসসুম নাদিয়া (১৩) ঢাকার উত্তরায় দুর্ঘটনায় মারা গেছে।
মাইলস্টোন স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। অপরদিকে ছেলে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র আরিয়ান আশরাফ নাফি আহত হয়ে হাসপাতালে ছটফট করছে। মঙ্গলবার গ্রামের বাড়িতে ভাইবোনের ছবি নিয়ে স্বজনদের আহাজারি আকাশ ভারি হয়ে ওঠে। ছবি কেবল স্মৃতির পাতায় ভেসে ওঠে।
এদিকে বাবা আশরাফুল ইসলাম নিরব ও মা তাহমিনা বেগম মূর্ছা যান ক্ষণে ক্ষণে। পাশাপাশি চাচা সাবেক শিক্ষক নেতা অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যরা জানান এ দৃশ্য দেখার নয়। একমাত্র ছেলেমেয়েকে ভালো স্কুলে লেখা পড়া করার জন্যই ভোলার গ্রামের বাড়ি ছেড়ে ঢাকায় শ্বশুরবাড়ি এলাকায় বসবাস করতেন আশরাফুল ইসলাম।
আশরাফুল ইসলামের ঘনিষ্ঠজন হুমায়ুন হাওলাদার জানান, মঙ্গলবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরপারে চলে যায় নাদিয়া। মঙ্গলবার বাদ জোহর জানাজা শেষে নাদিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়।
গ্রামের বাড়ি দৌলতখান উপজেলার দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে।
জানা গেছে, বিমান দুর্ঘটনায় আগুনে নাদিয়ার শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। গুরুতর আহত অবস্থায় নাদিয়াকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে হার মানতে হলো নাদিয়াকে। ছোট ভাই হাসপাতালে মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছে।
