Logo
Logo
×

সারাদেশ

৩৭তম বিয়ের পাত্রী দেখতে এসে ধরা দুই ব্যক্তি

Icon

ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৫, ১০:৪৬ পিএম

৩৭তম বিয়ের পাত্রী দেখতে এসে ধরা দুই ব্যক্তি

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ৩৭তম বিয়ের পাত্রী দেখতে এলে দুই ব্যক্তিকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিলেন জনতা। বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় উপজেলার পাঠানপড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

আটককৃত দুইজন হলেন- গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিনাথপুর বিষপুকুর গ্রামের মনতাজ উদ্দিনের ছেলে সদরুল ইসলাম (৪১) ও তার সহযোগী একই গ্রামের জালাল উদ্দীনের ছেলে আ. রহিম (৫৫)।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে প্রকৃত নাম-ঠিকানা গোপন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে ভুয়া আইডি কার্ড দেখিয়ে স্থানীয় ঘটক আমিরুল ইসলামের মারফত জেলার পাঁচবিবি উপজেলার সাতিনালী গ্রামের সাজ্জাদুর রহমান সোহেলের মেয়ের সঙ্গে পাঁচ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে করেন সদরুল ইসলাম। জামাই সেজে তিন দিন শ্বশুরবাড়িতে থেকে ছুটি শেষ সেনা ক্যাম্পে  ফেরার বাহানায় নগদ আড়াই লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয় তারা। পরে ওই ঠিকানায় খোঁজ নিয়ে তাকে আর পাওয়া যায় না।

বুধবার ক্ষেতলাল উপজেলার হোপ গ্রামের আফজাল হোসেনের মেয়ের সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসেন সদরুল ইসলাম ও তার এক সহযোগী। তাদের সেনা সদস্যের পরিচয়পত্র ও আইডি কার্ড দিয়ে যায়। বিষয়টি আমিরুল ঘটক জানতে পেরে তার আইডি কার্ডে ছবি দেখে তাকে চিনতে পারেন। এরপর বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ওই ভুয়া সেনাসদস্য তার এক সহযোগীকে নিয়ে বিয়ের খবর নিতে পাঠানপাড়া বাজারে আসেন।

ঘটক আমিরুল ও মেয়ের বাবা ওই দুই প্রতারকের ঘটনাটি বাজারের স্থানীয় লোকজনদের জানালে তাদের আটক করে গণধোলাই দেয়। এ সময় তারা সত্যতা স্বীকার করে বলেন- দেশের বিভিন্ন জায়গায় এভাবে ৩৬টি বিয়ে করেছেন। পরে ক্ষেতলাল থানা পুলিশ খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে ক্ষেতলাল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, সেনা সদস্য পরিচয়ে দুই ব্যক্তি বিয়ের পাত্রী দেখতে এলে স্থানীয় জনগণের সন্দেহ হলে তারা থানায় খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম