নির্মাণের দুই সপ্তাহ না যেতেই বেহাল সড়ক
ভেদরগঞ্জ (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৫, ১১:৪৯ পিএম
ছবি : যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মাত্র দুই সপ্তাহ আগে ৬০০ মিটার সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ হয়। বৃষ্টির মধ্যেই করা হয় কার্পেটিংয়ের কাজ। এরই মধ্যে ৬০০ মিটার নতুন রাস্তার অবস্থা বেহাল। খানাখন্দে ভরে উঠেছে রাস্তাটি। স্থানীয়দের অভিযোগ, ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হওয়ায় সড়কের কাজ সঠিকভাবে হয়নি। পাশাপাশি রয়েছে কর্তৃপক্ষের অবহেলা। এর জেরে দুই সপ্তাহ না যেতেই সড়কের অবস্থা খারাপ।
ঘটনাটি শরীয়তপুর ভেদরগঞ্জ উপজেলার শরীয়তপুর-চাঁদপুর
আঞ্চলিক মহাসড়কের।
জানা গেছে, আঞ্চলিক মহাসড়কটির ভেদরগঞ্জ
উপজেলার বাবুল খার দিঘির পূর্ব পাশ থেকে সাজানপুর বাজার পর্যন্ত ৬০০ মিটার কার্পেটিং
কাজ শেষ হয় দুই সপ্তাহ আগে। খুব কম সময়েই ঢালাইয়ের পিচ উঠে সড়কটিতে খানাখন্দে ভেরে
গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সড়কটি ব্যবহারকারীরা। তাদের অভিযোগ, নিম্নমানের বিটুমিন
ও বৃষ্টির মধ্যে ঠিকাদার কার্পেটিং কাজ করায় রাস্তাটি ভেঙে যাচ্ছে।
শরীয়তপুর সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সড়কটির
৬০০ মিটার অংশের কাজ পায় মেসার্স ভুইয়া কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। ৬৫ লাখ টাকার ঠিকাদার কোম্পানি না করে রুহুল আমিন,
জাকির হাওলাদার ও সঞ্জয়ের মাধ্যমে রাস্তার কাজটি সম্পন্ন করে। ঠিকাদাররা হালকা বৃষ্টির মধ্যে কার্পেটিংয়ের কাজ
করে। বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষনাক কাজ বন্ধ
করে দেন সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী। কিন্তু
বন্ধের পরদিন হালকা বৃষ্টির মধ্যেই কাজ সম্পন্ন করা হয়। তবে, এবার আর কোনো বাধা আসে
না।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মহাসড়কটির ৬০০
মিটারের মধ্যে ৪০০ মিটার অংশই ভেঙে পড়েছে। অন্তত ৫০টি অংশে নতুন করে গর্ত তৈরি হয়েছে।
গর্তে পানি জমে রয়েছে।
বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শরীয়তপুরের
মুখ্য সংগঠক শালেহ আকরাম বলেন, রাস্তাটি করার সময় বাধা দিয়েছি। তবুও তারা বৃষ্টির মধ্যেই
কাজ করে। নিম্নমানের বিটুমিনও ব্যবহার করেছে। কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ঠিকাদার এমন খারাপ
কাজ করেছে। মাত্র ১৫ দিনে রাস্তা শেষ।
শরীয়তপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী
শেখ নাবিল হোসেন বলেন, বৃষ্টির মধ্যে কার্পেটিংয়ের খবর পেয়ে আমরা সেদিন কাজ বন্ধ করেছি।
কিন্তু গর্তগুলোতে পানি থাকা অবস্থায় ঠিকাদার আবার দুদিন পরেই কাজটি শেষ করে। তবে এখন
যদি রাস্তাটি ভেঙে গেছে ঠিকাদারকে দিয়ে সমধান করানো হবে।
