শিশু সাইমুনকে নিয়ে বিপাকে পরিবার
মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৫, ০৮:১৯ এএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
অস্বাভাবিক বড় আকৃতির মাথা ঠিকমত খাবার খেতে পারে না। হাত-পা সব সময় কাঁপতে থাকে অন্যান্য শিশুদের মত স্বাভাবিক আচরণ নেই তার ভেতরে। জন্মের পর থেকেই শিশুটির জন্য তার বাবা-মায়ের সংসার ভাঙনের পথে। শিশুটিকে নিয়ে তার মা আশ্রয় নিয়েছে বাবার বাড়ি মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পাল্লা গ্রামে। অসহায় মা আফরোজা খাতুন ৪ বছরের রোগাগ্রস্থ শিশু সাইমুনকে কোলে নিয়ে চিকিৎসার জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। জন্মের পর থেকে তাকে নিয়ে চিকিৎসকদের কাছে আনা নেওয়া করতে হয়।
শিশুটির নানা আব্দুল হাই মিয়া জানান, তার মেয়ে আফরোজাকে ১৫ বছর আগে শৈলকুপা ভাটবাড়িয়া এলাকার ভ্যান চালক সাগর মন্ডলের সঙ্গে বিয়ে দেয়। আফরোজা প্রথমে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। পরে ২য় সন্তান মো. সাহাদি ইসলাম সাইমুনের জন্ম হয়। জন্মের সময় শিশুটির মাথার আকৃতি কিছুটা স্বাভাবিক মনে হলেও আস্তে আস্তে মাথাটি অস্বাভিবকভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে। পরে তাকে বিভিন্ন চিকিৎসকের নিকট নেওয়া হলে তাতে কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। ঝিনাইদহ-যশোরসহ আসপাশের ডাক্তার দেখানো হলেও কোনো লাভ হয়নি। চিকিৎসক বলছেন- ছেলেটির ব্রেইনে পানি জমছে দ্রুত অপারেশন করার দরকার। অপারেশন করতে অনেক টাকার দরকার।
শিশুটির মা আফরোজা খাতুন জানান, শিশুটির জন্মের পর থেকেই অভাবের সংসার শুরু হয়। কার চিকিৎসার বিষয় নিয়ে সংসারে ভ্যানচালক হতদরিদ্র স্বামীর সঙ্গে নানা ধরনের ঝামেলা লেগেই থাকে। আজ আমার সংসারটিই ভাঙতে বসেছে। টাকার অভাবে সন্তানটির ঠিকমত চিকিৎসা করাতে পারছি না। সাইমুনের মাথা অস্বাভাবিক বড় হওয়ায় নিজে চলাফেরা করতে পারছে না এছাড়া ঠিকমত কথা বলা বা খাওয়া-দাওয়াও করতে পারছে না। অন্যান্য বাচ্চাদের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে হাঁটা-চলা ও খাওয়া-দাওয়া করতে পারে না সাইমুন। সামান্য বাবা-মা ডাক দিতে পারলেও সব কিছু মনে রাখতে পারে না শিশুটি।
হতদরিদ্র মা তার শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসা করিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে সমাজের বিক্তবান লোকদের নিকট আর্থিক সহায়তার জন্য আকুতি করছেন।
মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কাজী আবু আহসান বলেন, শিশুটির দ্রুত উন্নত চিকিৎসা দেওয়াটা খুবই জরুরি।
