Logo
Logo
×

সারাদেশ

পায়রা বন্দরের কাছেই নিম্নচাপের অবস্থান

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন, রাঙ্গাবালী ও পায়রা বন্দর

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৫, ০৭:৩৯ পিএম

পায়রা বন্দরের কাছেই নিম্নচাপের অবস্থান

একদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ, অন্যদিকে অমাবস্যার প্রভাবে শুক্রবার পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় দিনের জোয়ারে নদ-নদীর পানি বেড়ে যায়। শুক্রবার সকালে পায়রা বন্দর থেকে ১১০ কিমি দূরে অবস্থান করছিল নিম্নচাপটি।

স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট বেশি উচ্চতার জোয়ারের পানিতে উপজেলার একাধিক নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বসতভিটা, মাছের ঘের, পুকুর ও ফসলি জমিতে পানি ঢুকে দুর্ভোগে পড়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর এবং পটুয়াখালী নদী বন্দরে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সকাল ৬টায় নিম্নচাপটি পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে প্রায় ১১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। 

নদীবন্দরের জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বিকাল ৪টা থেকে দিবাগত রাত ১টার মধ্যে ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়োহাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই পটুয়াখালী নদীবন্দরকে এক নম্বর সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

অস্বাভাবিক জোয়ারের ফলে রাঙ্গাবালীর চরকাশেম, যুগিরহাওলা, চরযমুনা, চরহেয়ারসহ বিভিন্ন নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে চালিতাবুনিয়া ইউনিয়ন ও চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরআন্ডা এলাকায় ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকেছে।

চালিতাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান বিপ্লব হাওলাদার বলেন, চরলতা ব্যতীত চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের বাকি সব এলাকায় আজ জোয়ারের পানি ঢুকেছে। বসতবাড়ির চারপাশে পানি উঠে গিয়েছিল। প্রতিটি বাড়ির পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। একটু জোয়ারের পানি বাড়লেই চালিতাবুনিয়ার মানুষ দুর্ভোগে পড়েন। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে ভেঙে থাকা বেড়িবাঁধ নির্মাণের কথা বারবার বলছি। তারা বলছে শুকনা মৌসুম ছাড়া পারবে না। তাই এখন দুর্ভোগ পোহানো ছাড়া উপায় নেই।

চরমোন্তাজ ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মাসুদ হাসান বলেন, চরমোন্তাজের বেড়িবাঁধের বাহিরের নিচু এলাকা এবং চরআন্ডার ভাঙা বাঁধের অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকেছে বলে স্থানীয় ইউপি সদস্যরা জানিয়েছেন। তবে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। আপডেট পেলে পরবর্তীতে জানানো হবে।

উপজেলা সামুদ্রিক মৎস্য কর্মকর্তা এসএম শাহাদাত হোসেন বলেন, অস্বাভাবিক জোয়ারের কারণে নিচু এলাকার মাছের ঘের ও পুকুর প্লাবিত হওয়ার খবর শুনেছি। তবে ঠিক কতটি ঘের ও পুকুরে পানি প্রবেশ করে মাছ ভেসে গেছে, তা পরবর্তীতে বলা যাবে।

এদিকে নদীপাড়ের অরক্ষিত এলাকার বাসিন্দারা জানান, দিনের জোয়ারের পানি নেমে গেছে। তবে রাতে আবারও জোয়ার হলে নতুন করে দুর্ভোগে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম