Logo
Logo
×

সারাদেশ

দশমিনায় আ.লীগ সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি

ভিডব্লিউবির তালিকায় অনিয়ম

Icon

দশমিনা ও দক্ষিণ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৫, ০৫:২৯ এএম

ভিডব্লিউবির তালিকায় অনিয়ম

দশমিনায় সরকারের সামাজিক কর্মসূচির আওতায় দুস্থ নারীদের পরিবারকে খাদ্য সহায়তার (ভিডব্লিউবি) নতুন নাম অন্তর্ভুক্তিতে চরম অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এতে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে বরিশাল বিভাগের সবচেয়ে দরিদ্র এ উপজেলার মানুষের মধ্যে।

জানা যায়, দুস্থ নারীদের পরিবারকে খাদ্য সহায়তার কর্মসূচির পূর্ব নাম ভিজিডি হলেও ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবর ভিডব্লিউবি নামে পরিপত্রের অনুমোদন দেয় সরকার। মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের আওতায় ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে বরিশাল বিভাগের সবচেয়ে দরিদ্র উপজেলা দশমিনার ৩৮৭২ দুস্থ নারীর পরিবারকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চালের খাদ্য সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় এ উপজেলার মোট ৭৭০৩ জন দুস্থ নারী খাদ্য সহায়তার অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করেন। উপজেলার সদর ইউনিয়নে ১৭৫৮, রনগোপালদী ১১৪৭, বাঁশবাড়িয়া ১২১৬, বহরমপুর ৯৯৯, বেতাগী-সানকিপুর ১০৮৩, আলীপুরা ১০৮৫ ও চরবোহান ইউনিয়ন থেকে ৪১৫ জন দুস্থ নারী অনলাইনে আবেদন করেন বলে উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় জানায়। প্রায় দ্বিগুণ সংখ্যক জনগোষ্ঠীর আবেদনের সুযোগ নিয়ে সিংহভাগ ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ইউপি সদস্য, উদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্ট অফিসসহ অনেকেই ভিডব্লিউবি কর্মসূচির নাম যাচাই-বাছাইয়ে টিকিয়ে রাখতে অর্থের লেনদেন করেছেন বলে অভিযোগ আছে।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি হলে শুরু হয় সমালোচনা। প্রতিজন সুফলভোগী নিশ্চিত করতে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। ইউএনওর দপ্তরে জমা পড়েছিল একটি লিখিত অভিযোগ। উপজেলার একটি ইউনিয়ন পরিষদের ট্যাগ অফিসারের (হয়রানি হওয়ার আশঙ্কা থাকায় নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না) সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, প্রতি নামের জন্য ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার করে টাকা নেওয়া হয়েছে। মেম্বার ও উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে সচিবরা (প্রশাসনিক কর্মকর্তা) টাকা নিয়েছেন। তার ভাষায়, মেম্বার ও উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসকরা টাকা নেন। পরে তা দপ্তরে বণ্টন হয়। প্রায় সব ইউনিয়নে একই অবস্থা বলে তার দাবি।

শনিবার সকালে আলাপকালে উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা জেসমিন আকতার বলেন, ইউপি সদস্যদের টাকা নেওয়ার বিষয় তিনি শুনেছেন। তবে কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি।

এ বিষয়ে ইউএনও ইরতিজা হাসান যুগান্তরকে বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে যাচাই হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে যাচাই চলমান আছে। অনিয়মের সুযোগ নেই। অনিয়ম হলে কোনো ছাড় নয়। আমি অন্যায়কে কখনো প্রশ্রয় দিই না। কারও বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভিডব্লিউবি নাম নির্বাচনে কোনো অনিয়ম যাতে না হয়, সেজন্যে সবাইকে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম