Logo
Logo
×

সারাদেশ

সংগঠনের জমি বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ

Icon

মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৫, ১০:৩৭ এএম

সংগঠনের জমি বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ

মাগুরার মহম্মদপুর উপজলার ‘লক্ষীপুর উদয়ন সংঘের’ ১১ শতাংশ জমি গোপনে বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করেছে সংগঠনটির সভাপতি প্রশান্ত কুমার ঠাকুর ও সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতানসহ কয়েকজন সদস্য।  জমি বিক্রির বিষয়টি স্বীকারও করেছে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

এ ঘটনায় লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. আলমগীর হোসেন উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

সংগঠনটির সদস্যরা জানান, মাত্র ৫ থেকে ১০ চাঁদার টাকা দিয়ে লক্ষীপুর উদয়ন সংঘ স্থাপন করা হয়।  সংগঠনটিকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিতে ১৯৯০ সালে লক্ষীপুর রাস্তার সঙ্গে ১১ শতাংশ জমি কেনা হয়। এরপর সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা শুরু হয়।  বর্তমানে সংগঠনটির সদস্য সংখ্যা ৪৫।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, প্রতিষ্ঠার ৩৫ বছর পর সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গুটি কয়েক অসাধু সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে জমিটি ৮ লাখ টাকায় বিক্রি করেন। বিক্রয়ের পুরো টাকায় তারা আত্মসাৎ করেছেন।  সংগঠনের নামে রেজিষ্ট্রশনকৃত সম্পত্তি বিক্রি করার কোনো আইন নেই।  সেখানে তারা গায়ের জোরে সকলকে না জানিয়ে আইনকে বদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জমিটি বিক্রি করে দেন।

অভিযোগকারী আলমগীর হোসেন বলেন, জমির দলিলে বিক্রি মূল্য পাঁচ লাখ টাকা দেখানো হলেও মূল বিক্রয় মূল্য ছিল ১০ লাখ টাকা। জমিটি রেকর্ড কবরস্থানের নামে।  বিক্রির সময় শ্রেণি পরিবর্তন করে ফসলি জমি হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করা হয়।

সংগঠনের জমিটি কেনা মো. মুক্তার হোসেন বলেন, ‘আমি পাঁচ লাখ টাকায় জমিটি কিনিনি।  আমার কাছ থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মোট সাত লাখ ৩০ হাজার টাকা নিয়েছেন। ’

অভিযোগের বিষয়ে লক্ষীপুর উদয়ন সংঘের সভাপতি প্রশান্ত কুমার ঠাকুর বলেন, ‘জমিটি বিক্রয়ের পর আমি জানতে পেরেছি সমাজ কল্যাণমূলক রেজিষ্ট্রিভুক্ত ক্লাবের জমি বিক্রয় করা যায় না।  জমিটি বিক্রয় করে ভুল করেছি এটা আমার মোটেও উচিৎ হয়নি। তবে, সংগঠন চাইলে জমিটি ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আমি সাহায্য করবো।’

এ বিষয়ে উপজলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আব্দুর রব বলন, ‘রেজিষ্ট্রশনভুক্ত লক্ষীপুর উদয়ন সংঘের জমি বিক্রয়ের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযাগ পেয়েছি। জেলা কর্মকর্তার নির্দেশক্রমে তদন্ত চলমান রয়েছে। ’

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম