সুজানগরে বিএনপির সভামঞ্চে হামলা ভাঙচুর, আহত ৫
পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৫, ০৯:০৬ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
পাবনার সুজানগরে বিএনপির নতুন সদস্য নবায়ন ও সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধনী সভামঞ্চে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতিসহ কমপক্ষে পাঁচ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তাঁতীবন্দ ইউনিয়নের পোড়াডাঙ্গা বাজার চত্বরে সভা শুরু হওয়ার ঘণ্টাঘানেক আগে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট একেএম সেলিম রেজা হাবিবের সমর্থকরা উপজেলার তাঁতীবন্দ ইউনিয়নের পোড়াডাঙ্গা বাজার চত্বরে বিএনপির নতুন সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমের এ সভামঞ্চ তৈরি করেন। একেএম সেলিম রেজা হাবিব ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন; কিন্তু প্রধান অতিথি আসার প্রায় এক ঘণ্টা আগে সভামঞ্চে হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলাকারীরা সভামঞ্চের টেবিল ও চেয়ার ভাঙচুরসহ সভায় যোগ দিতে আসা কয়েকজন নেতাকর্মীকে মারপিট করে আহত করে। এতে কমপক্ষে ৫ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে তাঁতীবন্দ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আব্দুল সালাম মুন্সী, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি এরশাদ আলম, ছাত্রদল নেতা তানভীর হাসান মারুফের অবস্থা গুরুতর। তাদের সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে হামলার ঘটনার পরপরই র্যাব ও পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ সময় সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও ওই এলাকায় সতর্ক অবস্থানে দেখা যায়।
সুজানগর থানার ওসি মজিবর রহমান বলেন, হামলার এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে সুজানগর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব (বহিষ্কৃত) শেখ আব্দুর রউফের ভাতিজা সরোয়ার হোসেন, তাঁতীবন্দ ইউনিয়নের বোরহান শেখের ছেলে আরিফুল শেখ ও সোলেমান শেখের ছেলে হৃদয়কে আটক করা হয়েছে।
এদিকে সভা শুরু হলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেলিম রেজা হাবিব হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
তাঁতীবন্দ ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান সরাসরি অভিযোগ করেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব (বহিষ্কৃত) শেখ আব্দুর রউফের নির্দেশে এ হামলা চালানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব (বহিষ্কৃত) শেখ আব্দুর রউফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটা মিথ্যা ও প্রতিহিংসামূলক। কারণ আমি তো আহত হয়ে মৃত্যুর ঘর থেকে ফিরে এসে এখন বিছানায় শায়িত।
এ সময় তিনি পালটা অভিযোগ করে বলেন, সকালে আমার এলাকায় ইউনিয়ন বিএনপির অফিস ওরা ভাঙচুর করায় ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা এ ঘটনা ঘটাতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত ৯ জুলাই সুজানগর পৌর শহরে বিএনপির বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শেখ আব্দুর রউফসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হন। এ ঘটনায় শেখ রউফসহ ৩৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়। সেই মামলায় ১০ জুলাই সদস্য সচিব শেখ আব্দুর রউফসহ ১০ জনকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। পরে সোমবার (২৮ জুলাই) উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে উপজেলার তাঁতিবন্দ নিজ বাড়িতে আসেন শেখ আব্দুর রউফসহ আসামিরা।
