Logo
Logo
×

সারাদেশ

পাবিপ্রবির ২৮ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

সনদ বাতিল ও আজীবন বহিষ্কার হতে পারে

Icon

পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৫, ১০:২৬ পিএম

পাবিপ্রবির ২৮ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ২৮ শিক্ষার্থীর সনদ বাতিল, সনদ স্থগিত ও বহিষ্কারসহ বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তির প্রক্রিয়া চলছে। এদের মধ্যে ১১ জনের আজীবনের জন্য সনদ বাতিল, ৭ জনের ৩ বছরের জন্য সনদ স্থগিত, ৬ জনকে আজীবন বহিষ্কার এবং ৪ জনকে ৩ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হতে পারে।

বুধবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম। এর আগে গত ২৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩তম রিজেন্ট বোর্ডের সভায় এসব শিক্ষার্থীকে শাস্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এখন আইনগত বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা গেছে, রিজেন্ট বোর্ডের সভায় ২১ নাম্বার আলোচ্যসূচিতে এ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের সাথে জড়িতদের বিচারের জন্য চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এরপর ২৪ মে পর্যন্ত তদন্ত কমিটি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অভিযোগগুলো সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে ২৪ জুলাই কমিটি তদন্ত শেষ করে এর রিপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জমা দেন। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটির কাছে ৩৫ জনের বেশি শিক্ষার্থীর নামে  ৯টি অভিযোগ জমা পড়ে।

এর মধ্যে ৬টি অভিযোগ প্রমাণিত হয় এবং ২টি অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। আর ১টি অভিযোগ অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত নিজেদের মধ্যে সমাধান করে নেন।

সূত্র আরও জানায়, আজীবনের জন্য সনদ বাতিলের মধ্যে আছেন- লিংকন হোসেন (বাংলা বিভাগ, ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ), ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল্লাহ (ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ, ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ), মাসুদ রানা সরকার (গণিত বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ), হামিদুর রহমান শামীম (পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ), ইকরামুল ইসলাম (বাংলা বিভাগ, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ), মিনহাজুল ইসলাম প্রান্ত (সমাজকর্ম বিভাগ, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ), রাসেল হোসেন রিয়াদ (বাংলা বিভাগ, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ), বিল্লাল হোসেন (অর্থনীতি বিভাগ, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ),  সুরুজ মিয়া আপেল (গণিত বিভাগ, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ), শেহজাদ হাসান (ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ), শিবু দাস (লোক প্রশাসন বিভাগ, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ)। যাদের ৩ বছরের জন্য সার্টিফিকেট স্থগিত করা হয়েছে তারা হলেন শাহেদ জামিন হিরা (পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ), নাজমুল ইসলাম আবীর (গণিত বিভাগ, ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ), সাব্বির হোসেন সবুজ (বাংলা বিভাগ, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ), শেখ রাসেল (লোক প্রশাসন বিভাগ, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ), সোহানুর রহমান সোহান (ইংরেজি বিভাগ, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ), জহরুল ইসলাম পিয়াস (অর্থনীতি বিভাগ, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ), জাহির রায়হান (বাংলা বিভাগ, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ)। আজীবন বহিষ্কার হয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু (ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষ), নাইমুর নাহিদ ইমন (ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ), আশিক আরমান শোভন (স্থাপত্য বিভাগ, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ), তৌফিক হাসান হৃদয় (ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ), অয়ন আলমাস (বাংলা বিভাগ, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ), তানশু দাস (ইতিহাস বিভাগ, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ)। ৩ বছরের জন্য বহিষ্কার হয়েছেন, আশরাফুল ইসলাম (গণিত বিভাগ, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ), আকাশ ভূঁইয়া (পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ), অনিক পোদ্দার (ইতিহাস বিভাগ,  ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ), শাহ আলম (ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ)।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম বলেন, রিজেন্ট বোর্ডের সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২৮ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এখন আইনগত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম