পুশইন করা বাংলাদেশিরা। ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নওগাঁর ধামইরহাট ও সাপাহার সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ১৮ বাংলাদেশিকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
শুক্রবার ভোরে ধামইরহাট উপজেলার কালুপাড়া সীমান্তের পিলার ২৭১/১ এস এবং সাপাহার উপজেলার বামনপাড বিওপির মেইন পিলার ২৪৬/২-এস এর কাছ থেকে তাদের আটক করেছে বিজিবি।
আটকরা হলেন- খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের বাদশা মিয়া (২০), ইমরান গাজী (৩৪), নাজমুল হাসান (২৪), খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার মাধবপুরের মোছা. সুমা মোল্লা (৪), শিশু রায়হান মোল্লা (৪), নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার মোছা. নুপুর খানম (২২), শিশু মোছা. আশিকা খানম (৪), মোছা. মনিরা খাতুন (১৮), মোছা. রাবেয়া শেখ (২৮), বাবু শিকদার (১৭), প্রিয়া শিকদার (২৬), শিশু ফাতেমা শেখ (৭), মোছা. ববিতা শিকদার (৩৫), যশোর জেলার কোতোয়ালি থানার মোছা. দুলি বেগম (৪০)।
সাপাহারে আটক ব্যক্তিরা হলেন- নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার উথলী গ্রামের ইমদাদুলের স্ত্রী মোছা. হেনা খাতুন (৩৮), একই উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের বালাম শিকদারের স্ত্রী রূপালী (৩৫), তাদের মেয়ে চাঁদনী (৮) এবং ছেলে রমজান (২ বছর ৬ মাস)।
বিজিবি-১৪ (পত্নীতলা) ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ইকবাল হোসেন জানান, কালুপাড়া বিওপির টহল দল ভোরে বাংলাদেশের ৫০ গজ অভ্যন্তরে সাতনাপাড়া আমবাগানে তাদের ঘোরাফেরা করতে দেখে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, কয়েক বছর আগে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা ও বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে তারা ভারতের মুম্বাই শহরে যান। তাদের মধ্যে চার পুরুষ রাজমিস্ত্রি এবং সাতজন মহিলা গৃহকর্মীর কাজ করতেন। পরবর্তীতে মুম্বাই পুলিশ তাদের আটক করে। পরে ভারতের বালুরঘাট বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের বাংলাদেশে পুশইন করে।
অন্যদিকে সাপাহার সীমান্তে আটক ব্যক্তিরাও কয়েক বছর আগে অবৈধভাবে ভারতের মুম্বাইয়ে গিয়ে গৃহকর্মীর কাজ করতেন। সম্প্রতি মুম্বাই পুলিশ তাদের আটক করে ‘চেকব্যাক’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের ছত্রাহাটি বিএসএফ ক্যাম্পে পাঠায়। সেখান থেকে ভোরে তাদের বাংলাদেশে পুশইন করা হয়। সাপাহারের বামনপাড়া বিওপির মেইন পিলার ২৪৬/২-এস থেকে ৮০০ গজ ভেতরে রসুলপুর গ্রামের জামে মসজিদের পাশ থেকে বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে।
ধামইরহাট থানার ওসি মো. ইমাম জাফর বলেন, বিজিবি এখনো আটকদের থানায় হস্তান্তর করেনি। হস্তান্তরের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
সাপাহার থানার ওসি মো. আব্দুল আজিজ জানান, আটক ব্যক্তিদের বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
