লঞ্চ থেকে মধ্যরাতে মেঘনায় ঝাঁপ যুবকের
লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৫, ০৯:৩৬ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লালমোহনগামী এমভি মানিক-১১ লঞ্চ থেকে মধ্যরাতে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে মেঘনা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন এক যুবক।
শনিবার রাতে কালীগঞ্জ নামক স্থানে মানিক-১১ থেকে ঝাঁপ দেওয়া ওই যাত্রীর এখন পর্যন্ত কোনো সন্ধান পাওয়ায় যায়নি। জানা যায়নি ওই ব্যক্তির নাম ও ঠিকানাও। শেষপর্যন্ত তার ভাগ্যে কী ঘটেছে তাও বলা যাচ্ছে না। লঞ্চ কর্তৃপক্ষের দাবি ঝাঁপ দেওয়া ব্যক্তি মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন। তিনি লঞ্চ ছাড়ার পর থেকেই অসংলগ্ন আচরণ করেন।
জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকার সদরঘাট থেকে ভোলার লালমোহনগামী এমভি মানিক-১১ লঞ্চ ছেড়ে আসে। লঞ্চ ছাড়ার পর থেকে ঝাঁপ দেওয়া ব্যক্তিকে লঞ্চের পেছনে বসে অসংলগ্ন আচরণ করতে দেখেন স্টাফরা।
লঞ্চের পরিদর্শক বাবু জানান, ওই ব্যক্তি লঞ্চ ছাড়ার পর থেকেই পেছনে গিয়ে কার্নিশে গান গাইতে থাকেন। তাকে আমরা লঞ্চের ভেতরে আনার চেষ্টা করি। কিন্তু তিনি রান্না করার খুন্তি দিয়ে মারতে তেড়ে আসেন। তাকে অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল ভেতরে আনার। তবুও আনা সম্ভব হয়নি। রাত সাড়ে ১২টার দিকে লঞ্চ কালীগঞ্জ নামক স্থানের কাছাকাছি এলে আচমকা ওই ব্যক্তি ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নদীতে ঝাঁপ দেন। তখন যাত্রীরা টের পেয়ে চিৎকার শুরু করলে লঞ্চ ঘুরিয়ে তল্লাশি করা হয়। প্রায় ১ ঘণ্টা তল্লাশি করার পরও ঝাঁপ দেওয়া ব্যক্তির কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে বাধ্য হয়ে লঞ্চ আবার ঘুরিয়ে চলে আসি।
এদিকে যাত্রীদের সূত্র জানায়, লঞ্চ কর্তৃপক্ষের গাফিলতি রয়েছে। লোকটি মানসিক প্রতিবন্ধী হলেও সে অনিরাপদভাবে লঞ্চের পেছনের কার্নিশে প্রায় ৪ ঘণ্টা অবস্থান করার পরও তাকে ভেতরে আনার জন্য জোর চেষ্টা করা হয়নি। ওই ব্যক্তির নাম ও পরিচয় কেউ জানে না। শেষপর্যন্ত তার ভাগ্যে কী ঘটেছে তা কেউ বলতে পারেন না।
পরিদর্শক বাবু জানান, রোববার সকালে লঞ্চ লালমোহন ঘাটে এলে লালমোহন থানায় বিষয়টি জানাই আমরা। ওই ব্যক্তির কোনো পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
লালমোহন থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, লঞ্চের কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে অবহিত করা হয়েছে। তবে ঘটনাস্থল বরিশালের কালীগঞ্জ থানাধীন। তাছাড়া ব্যক্তির পরিচয়ও এখন পর্যন্ত ক্লিয়ার হওয়া যায়নি।
