|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বগুড়ার নন্দীগ্রামে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ দর্জি শ্রমিক ফারুক হোসেনের (৩৫) গাল থেকে গুলি (পিলেট) অপসারণ করা হয়েছে।
শনিবার নন্দীগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ইকবাল মাহমুদ লিটন এ অপারেশন করেন।
ফারুক হোসেন বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বেলঘড়িয়া গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে। পেশায় দর্জি শ্রমিক ফারুক হোসেন নন্দীগ্রাম সদরে পলাশ টেইলার্সে কাজ করেন। গত বছরের ৪ আগস্ট বগুড়া শহরের সাতমাথায় গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়ে পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন।
এ প্রসঙ্গে ডা. ইকবাল মাহমুদ লিটন বলেন, দর্জি শ্রমিক ফারুক হোসেন গালে ব্যথা অনুভব করছিলেন। পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, তার গালে পিলেট (শটগানের কার্তুজের গোলাকার ধাতব কণা) রয়েছে। শনিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার গালে অপারেশন করে পিলেট অপসারণ করা হয়। বর্তমানে তিনি সুস্থ রয়েছেন।
ফারুক হোসেন জানান, তিনি গত বছরের ৪ আগস্ট বগুড়া শহরের সাতমাথায় অন্যদের সঙ্গে গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেন। সেখানে মিছিলে পুলিশ গুলি ছুড়লে একটি তার গালে বিদ্ধ হয়। তখন চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হন। গালে গুলি থাকার কারণে মাঝে মধ্যেই খুব ব্যথা হতো। শনিবার দুপুরে অস্ত্রোপচার করে গুলি বের করা হয়েছে। এখন তিনি সুস্থ আছেন।
