Logo
Logo
×

সারাদেশ

যুবদল নেতা হত্যা মামলার আসামি ইউনিয়ন বিএনপি সেক্রেটারি নির্বাচিত

Icon

মাগুরা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৫, ১১:০০ পিএম

যুবদল নেতা হত্যা মামলার আসামি ইউনিয়ন বিএনপি সেক্রেটারি নির্বাচিত

মাগুরায় মসজিদের আর্থিক হিসাব চাওয়ার ঘটনার বিরোধে যুবদল নেতা মিরান হত্যা মামলার আসামি মহব্বত হোসেন জেলার শ্রীপুর উপজেলার নাকোল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। এ ঘটনায় জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

অন্যদিকে নির্বাচনের পর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলি আহমেদ এবং সদস্য সচিব মনোয়ার হোসেন খানসহ বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে হত্যা মামলাটির ওই আসামির ফুলের মালা ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহত যুবদল নেতার স্ত্রী টুম্পা পারভিন কেয়া।

এ বছরের ৩০ মার্চ রাতে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার নাকোল বাজারে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন মাগুরা জেলা যুবদল সদস্য মিরান হোসেন (৪৩)। এ ঘটনার পর ৫ এপ্রিল তার মৃত্যু হয়।

মিরান হোসেনের মৃত্যুর পর ৮ এপ্রিল তার স্ত্রী টুম্পা পারভিন কেয়া নাকোল ইউনিয়নের রায়নগর গ্রামের বিএনপি কর্মী মহব্বত হোসেন, সব্দালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য হাফিজার রহমানসহ ১৯ জনকে আসামি করে শ্রীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার ১৩ নম্বর আসামি মহব্বত হোসেন গত ২০ আগস্ট গঠিত নাকোল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

স্থানীয় বিএনপির সাধারণ কর্মীরা জানান, মহব্বত অতীতে বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিলেও অধিকাংশ সময় শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নাকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়নুর রশিদ মুহিতের সঙ্গে সখ্য রেখে চলতেন। অথচ ৫ আগস্টের পর তিনি জেলা বিএনপির নেতাদের ছবি জুড়ে নিজের পোস্টার বের করে আলোচনায় চলে আসেন। যে কারণে পুলিশ যুবদল নেতা মিরান হত্যা মামলার ৩ আসামিকে গ্রেফতার করলেও তাকে কখনো গ্রেফতারের চেষ্টা করেনি।

অন্যদিকে নিহত যুবদল নেতা মিরান হোসেনের স্ত্রী টুম্পা পারভিন কেয়া বলেন, পুলিশ প্রথম থেকেই এসব আসামি গ্রেফতারে অনীহা দেখিয়েছে। তারপরও মহব্বতসহ কয়েকজন আসামি আদালতে হাজির হয়ে জামিনে বের হয়ে পুলিশের সামনে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে বেড়ালেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেনি। আর এখন জেলা বিএনপি আহ্বায়ক আলি আহমেদ এবং সদস্য সচিব মনোয়ার হোসেন খানের সঙ্গে ফুলের মালা গলায় দিয়ে ছবি তুলছে। এটি আমার জন্যে খুবই বেদনার।

এ বিষয়ে হত্যা মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবদুল মালেক বলেন, মামলাটির বেশ কয়েকজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া মামলার ১৩ নম্বর আসামি মহব্বত হোসেন উচ্চ আদালত থেকে আট সপ্তাহের জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। ইতোমধ্যে জামিনের মেয়াদ শেষ হলেও তাকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।

হত্যা মামলার আসামিকে বিএনপির কমিটিতে স্থান দেওয়ার বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠন প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক মাগুরা জেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান ইমাম সুজা বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ভোটাভুটির মাধ্যমেই তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। এখানে দলের পক্ষ থেকে তার প্রতি কোনো আনুকূল্য দেখানে হয়নি। এছাড়া যুবদল নেতা মিরান হত্যা মামলার আসামি থাকায় মহব্বত হোসেন সম্পর্কে নানাভাবে যাচাই-বাছাই করা হয়। মামলাটি তদন্তনাধীন হলেও ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা আমরা পাইনি। প্রার্থীর অযোগ্যতার বিষয়ে যেসব শর্ত রয়েছে তার কোনোটিতেও সে বাদ পড়ে না।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম