সৈয়দপুরে ভয়াবহ যানজট নিরসনে স্টিল ও বাঁশের ডিভাইডার
সৈয়দপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৪০ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
উত্তরের জনপদ নীলফামারীর সৈয়দপুরে ভয়াবহ যানজটে নাকাল মানুষ। নষ্ট হচ্ছে কর্মঘণ্টা। তিক্ত-বিরক্ত মানুষ ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা হাপিয়ে উঠেছেন। শহরের মুলত দুটি সড়কের বেশকিছু জায়গায় স্টিল ও বাঁশের ডিভাইডার ব্যবহার করে যানজট নিরসনে চেষ্টা করছেন ট্রাফিক পুলিশ। সরু রাস্তায় এসব ডিভাইডার ব্যবহার করায় সুবিধার চেয়ে অসুবিধাই হয়েছে বেশি।
সৈয়দপুর ব্যবসা-বাণিজ্যে সমৃদ্ধ একটি শহর। এখানে প্রায় চার লাখ মানুষের বসবাস। এ শহরকে উত্তরাঞ্চলের গেটওয়ে বলা হয়। আকাশ, সড়ক ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় প্রতিদিন বাইরে থেকে আরও দুই লাখ মানুষ এ শহরে আসেন। সেই সঙ্গে ঢুকছে অসংখ্য যানবাহন। অথচ শহরের সড়কগুলো হয়নি প্রশস্ত। শুধু তাই নয়, অধিকাংশ সড়কই রয়েছে ভাঙাচোরা ও খানাখন্দে ভরা। ফলে যানজটে দিশেহারা পৌরবাসী। জনবল সংকটের কারণে অসহায় ট্রাফিক পুলিশও।
পথচারীদের অভিযোগ, সড়কে প্যাডেল রিকশা, ইজিবাইক ও সিএনজি অটোরিকশাগুলো বিশৃঙ্খলভাবে চলে। কে কার আগে যাবে, এই প্রতিযোগিতা চলে। দিনের বেলায় ট্রাক-পিকআপের মতো বড় বড় গাড়িও ঢুকে যাচ্ছে শহরে। এর মধ্যে নেই কোনো জোরালো ট্রাফিক ব্যবস্থা।
শহরে দিনের বেলায় সড়কে ট্রাক বা ভারি যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মানছে না কেউ। এছাড়া শহরের ভেতর দিয়ে কয়েকবার ট্রেন চলাচলের কারণে রেলগেট বন্ধ থাকায় যানজট পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠছে। এতে করে বিমানের যাত্রীরা বিমান ধরতে পারছেন না। জরুরি কাজে দমকল বাহিনী ও অ্যাম্বুলেন্স শহর পেরুতে দীর্ঘ সময় নষ্ট হচ্ছে।
ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মাহফুজার আলম বলেন, অতিরিক্ত অটোরিকশা চলাচল, ফুটপাত দখল করে দোকান, যেখানে সেখানে অটোরিকশা রেখে যাত্রী ওঠানামা ও দিনের বেলায় শহরের ভেতর পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশের কারণে যানজট বাড়ছে। এর স্থায়ী সমাধানে সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন। একা ট্রাফিক পুলিশের পক্ষে যানজট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক নুর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, শহরকে যানজটমুক্ত করতে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়েছে। সভায় ব্যক্তি সচেতনতা তৈরি করতে নাগরিক কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে। যানজটের স্থায়ী সমাধানের জন্য সচেতনতা বেশি জরুরি। এতে কাজ না হলে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে তিনি জানান।
সকলের সাথে পরামর্শে সড়কে স্টিল ও বাঁশের ডিভাইডার স্থাপন করে সড়কে শৃংখলা আনা হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের কাজে সহযোগিতার জন্য বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সৈয়দপুর ইউনাইটেড ভলান্টিয়ার্স অ্যাসোসিয়েসন (সুভা) এর সদস্যদের মাঠে নামানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
