তানোরে দুই বাড়িতে ডাকাতি, স্বর্ণালংকারসহ মালামাল লুট
তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৫০ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রাজশাহীর তানোরে এক রাতে দুই বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দল উভয় বাড়ির পরিবারের সদস্যদের হাত-পা বেঁধে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে উভয় বাড়ি পরিদর্শন করেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে তানোর উপজেলার সীমান্ত এলাকার মালশিরা গ্রামের বাসিন্দা আবিদা জুয়েলার্সের মালিক মোয়াজ্জেম সোনারের (৪০) বাড়ি ও পাশের বাড়িতে একতলা ভবনের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ৭-৮ জনের একদল মুখোশধারী ডাকাত।
ডাকাত দলের সদস্যরা ঘরে ঢুকে প্রথমে মোয়াজ্জেম সোনার ও তার স্ত্রীকে ওড়না দিয়ে বেঁধে মারপিট করে লেপের নিচে ঢেকে রাখে। পরে ঘরে থাকা কাঠের একটি আলমারি ভেঙে ৩ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার, দুটি মোবাইল ফোন ও নগদ আড়াই লাখ টাকা নিয়ে যায়।
অপরদিকে একই রাত ৩টার দিকে পাশের বেলাল উদ্দিনের বাড়ির ভেতরে একই কায়দায় ঢুকে ৭-৮ জনের একদল মুখোশধারী ডাকাত। ডাকাতরা পরিবারের সদসদের ওড়না-গামছা দিয়ে বেঁধে রাখে। পরে ঘরে থাকা কাঠের আলমারি, স্টিলের শোকেজ ও বাক্স ভেঙে সাড়ে ৩ ভরি ওজনের স্বর্ণের জিনিস, ৩টি মোবাইল ফোন ও নগদ সাড়ে ৩ লাখ টাকা লুট করে।
ক্ষতিগ্রস্ত উভয় পরিবারের সদস্যরা বলেন, ডাকাত দলের সদস্যদের পরনে ছিল আন্ডারওয়ার, লুঙ্গী (কাঁছা দেওয়া অবস্থায়), হাফপ্যান্ট। তারা সবাই স্থানীয় ভাষায় কথা বলেছে। সবার বয়স ৩০ থেকে ৩৫ বছর হবে। ডাকাতরা ঘরে প্রবেশের পর ঘণ্টাব্যাপী তাণ্ডব চালায়। এ সময় তারা উভয় পরিবারের সদস্যদের ব্যাপক মারধর করেছে।
এ ব্যাপারে তানোর থানার ওসি আফজাল হোসেনের মোবাইলে বেশ কয়েকবার কল দেওয়া হলেও কেউ তা রিসিভ করেনি।
শুক্রবার বিকালে এ রির্পোট লেখার সময় রাজশাহীর সহকারী পুলিশ সুপার গোদাগাড়ী সার্কেল মির্জা আব্দুস সালাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বলে মোবাইলে এ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম বলেন, ডাকাতির খবর পেয়ে উভয় বাড়িতে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে অনুসন্ধান চলছে।
তিনি বলেন, আমরা উভয় ডাকাতির ঘটনায় একটি টিম গঠন করেছি। ইতোমধ্যে ডাকাতদের গ্রেফতারে ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা শুরু করা হয়েছে। আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকাতদের আইনের আওতায় আনতে পারব।
