Logo
Logo
×

জাতীয়

পাসপোর্ট জালিয়াতি, বেতন কমলো সহকারী প্রোগ্রামারের

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৫ এএম

পাসপোর্ট জালিয়াতি, বেতন কমলো সহকারী প্রোগ্রামারের

ই-পাসপোর্ট ইস্যু প্রক্রিয়ায় জালিয়াতি ও অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ডাটা অ্যান্ড পার্সোনালাইজেশন সেন্টারের সহকারী প্রোগ্রামার হাসানুজ্জামানকে এক বছরের জন্য বেতন গ্রেডে এক ধাপ অবনমিত করা হয়েছে। অর্থাৎ, অসদাচরণের দায়ে তাকে লঘুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এতে তার মাসিক বেতন ১ হাজার ৭১০ টাকা কমেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা-৪ শাখা থেকে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ শাস্তির কথা উল্লেখ করা হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণি স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এনায়েত উল্লাহ অন্য ব্যক্তি লিটন মিয়ার এমআরপি নম্বর ব্যবহার করে নিজের নাম, পিতা-মাতার নাম ও জন্মতারিখ পরিবর্তন করে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন। পরে এ আবেদনের ভিত্তিতে এনায়েত উল্লাহর নামে ই-পাসপোর্ট ইস্যু হলে লিটন মিয়ার মূল এমআরপি পাসপোর্ট বাতিল হয়ে যায়।

অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, আবেদন প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত এবিআইএস সফটওয়্যারে আবেদনকারীর মুখাবয়ব ও আঙুলের ছাপ সম্পূর্ণ অমিল থাকা সত্ত্বেও সিস্টেম তা বাতিল করেনি। বরং সংশ্লিষ্ট সহকারী প্রোগ্রামার হাসানুজ্জামান তার ইউজার আইডি ব্যবহার করে ইআইডি রিলিজ ও অনুমোদন দেন।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক সাকিবুর রহমানের বিরুদ্ধেও গত ২৭ মে বিভাগীয় মামলা হয় এবং তার ব্যক্তিগত শুনানিও সম্পন্ন হয়েছে।

পরবর্তীতে তদন্ত কর্মকর্তা উপসচিব মোহাম্মদ আবু কাউছারের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি ঘটনার সব নথি, সাক্ষ্য ও প্রযুক্তিগত তথ্য বিশ্লেষণ করে মতামত দেয় যে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে লঘুদণ্ড দেওয়া হলো।

তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট বিধিমালার অনুযায়ী মো. হাসানুজ্জামানের বেতন ৩৫ হাজার ৮৮৮ টাকা থেকে এক ধাপ কমিয়ে ৩৪ হাজার ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এক বছর পর তিনি আগের বেতনক্রমে ফিরতে পারবেন, তবে কোনো বকেয়া সুবিধা প্রাপ্য হবেন না বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম