‘দেশের প্রায় দুই কোটি মানুষ সিওপিডিতে ভুগছেন’
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:২৫ পিএম
সেমিনারে বক্তারা। ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ বা সিওপিডি হলো শ্বাসতন্ত্রের জটিল একটি রোগ। এটি একটি গুচ্ছ রোগ যা ক্রনিক ব্রংকাইটিস, এমফাইসিমা ও ক্রনিক অ্যাজমার যেকোনো একটি, দুটি বা তিনটির সহাবস্থান। রোগটিকে একসঙ্গে বলে সিওপিডি।
সিওপিডিকে অনেকে অ্যাজমা বলে ভুল করে থাকেন। আসলে সিওপিডি আর অ্যাজমা এক নয়। অসংক্রামক রোগগুলোর মধ্যে সিওপিডি অন্যতম। হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের পর পৃথিবীব্যাপী এটি মৃত্যুর তৃতীয় কারণ। বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে প্রায় ১২.৫ ভাগ লোক সিওপিডিতে ভুগছেন যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ২ কোটি। শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামীণ এলাকায় সিওপিডির প্রাদুর্ভাব বেশি।
তবে ধুমপান পরিহার, দুষণমুক্ত পরিবেশে বসবাস, মুখে মাস্ক ব্যবহার করা, ফুসফুসের পুনর্বাসন কার্যক্রম গ্রহণ, ব্যালেন্স ডায়েট গ্রহণ, প্রাথমিক পর্যায়ে রোগটি সনাক্তকরণ এবং যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে রোগটি প্রতিরোধসহ রোগীর জীবনমান উন্নত করা যায়।
বিশ্ব সিওপিডি দিবস ২০২৫ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের আয়োজনে শ্বাসতন্ত্রের রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা বিষয়ক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সেমিনারের বৈজ্ঞানিক সেশনে Role of NIV in COPD— বিষয়ের ওপর বিশেষ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. জিয়াউল হক এবং Surgical Management of COPD বিষয়ের ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন থোরাসিক সার্জারির সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. শাহিনুর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. ফয়সাল ও ডা. তিসা। সমন্বয় করেন ডা. মাহফুজ আহমেদ চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আরো বলেন, সিওপিডি প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, উন্নত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা এবং নিয়মিত চেক-আপ অত্যন্ত জরুরি। এছাড়াও ধুমপান ত্যাগ, বাসস্থানের ধোঁয়া কমানো, সময়মতো চিকিৎসা নেওয়া এবং নিয়মিত ফুসফুসের কার্যক্রম পরীক্ষা করা অপরিহার্য।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন এভারকেয়ার হসপিটালের সিইও ও এমডি ডা. রত্নদ্বীপ চাস্কার। বিশ্ব সিওপিডি দিবসের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন গ্রুপ ডিরেক্টর, মেডিকেল সার্ভিসেস ডা. আরিফ মাহমুদ।
দিবসের প্রেক্ষাপট নিয়ে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও চিফ কো-অর্ডিনেটর ডা. এস. এম. আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, সিওপিডি দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্টজনিত রোগ, যা উপেক্ষা করলে জীবনমান দ্রুত কমে যায়। অথচ অনেক রোগীই জানেন না যে তারা সিওপিডিতে ভুগছেন।
অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. দেলোয়ার হোসেন এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ।
