ব্যাংক গ্যারান্টিতে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি করা যাবে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৫৯ এএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ব্যাংক গ্যারান্টিতে রপ্তানিমুখী ৮ শিল্পের কাঁচামাল শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা যাবে। এগুলো হচ্ছে-ফার্নিচার, ইলেকট্রনিক্স, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, স্টিলজাত দ্রব্য, প্লাস্টিক পণ্য, চামড়াজাত পণ্য ও তৈরি পোশাক। অবশ্য এজন্য কিছু শর্ত পালন করতে হবে। বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ব্যাংক গ্যারান্টিতে কাঁচামাল আমদানি করতে বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠান বা ক্রেতার সঙ্গে ক্রয়-বিক্রয় চুক্তি, ঋণপত্র (এলসি) বা অগ্রিম টিটি থাকতে হবে। একই সঙ্গে বিদেশি প্রতিষ্ঠানে ক্রয়-বিক্রয় চুক্তি আইভাস সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিষ্ঠানের লিয়েন ব্যাংক থেকে প্রত্যয়ন করতে হবে। আইভাস সিস্টেমে ব্যাংকের নাম না থাকলে মূসক ফরম-২.১-এর মাধ্যমে ভ্যাট নিবন্ধনের তথ্য হালনাগাদ করে ব্যাংকের নাম অন্তর্ভুক্ত করে নিতে হবে। রপ্তানি আদেশপ্রাপ্তির পর কাঁচামাল আমদানির আগে প্রতি একক পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামালের তালিকা, যৌক্তিক পরিমাণ নিজ নিজ ভ্যাট কমিশনারেটে জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে রপ্তানি পণ্যের ন্যূনতম ৩০ শতাংশ মূল্য সংযোজন করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, আমদানি কাঁচামাল দিয়ে উৎপাদিত পণ্য রপ্তানির সময়সীমা ৯ মাস। কোনো কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রপ্তানি সম্ভব না হলে সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনার সময়সীমা ৩ মাস বাড়াতে পারবেন। পণ্য রপ্তানি শেষে রপ্তানিসংশ্লিষ্ট দলিলাদি ভ্যাট কমিশনারেটে জমা দিতে হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভ্যাট কমিশনারেট থেকে ব্যাংক গ্যারান্টি অবমুক্ত করতে অনাপত্তি দেবে, কাস্টম হাউজ বা শুল্ক স্টেশন সে অনুযায়ী ব্যাংক গ্যারান্টি অবমুক্ত করবে। কোনো প্রতিষ্ঠান যথাসময়ে পণ্য রপ্তানি করতে অথবা রপ্তানি অর্থ নির্ধারিত সময়ে প্রত্যাবাসন করতে না পারলে ব্যাংক গ্যারান্টি নগদায়ন করা হবে।
যেসব পণ্য আমদানি করা যাবে না, সেগুলো হলো-এমএস রড বা বার, এঙ্গেল এবং এমএস ওয়্যার, প্রি-ফেব্রিকেটেড বিল্ডিং, সিমেন্ট, কেবল, পেইন্ট, লুব অয়েলসহ সব ধরনের জ্বালানি তেল, অফিস সরঞ্জাম ও আসবাবপত্র, এয়ারকন্ডিশনার, গৃহস্থালি সামগ্রী এবং পার্টিকেল বোর্ড।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর বলেছে, বন্ড লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও শুল্কমুক্ত সুবিধায় পণ্য আমদানির সুযোগ দেওয়ার ফলে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন সক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে রপ্তানিযোগ্য পণ্যের বৈচিত্র্য বৃদ্ধি পাবে। এতে দেশের রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে।
