খুলেছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান
কোথাও লেনদেনের চাপ, কোথাও নেই
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৫, ১১:০১ পিএম
ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কুরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে টানা ১০ দিন বন্ধের পর রোববার দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খুলেছে। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে লেনদেন চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। কয়েকটি ব্যাংক ও সুপারশপ কেন্দ্রিক কিছু শাখায় সামান্য ভিড় দেখা গেলেও বেশির ভাগ ব্যাংকে লেনদেনের তেমন চাপ ছিল না। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক বসুন্ধরা শাখা ব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ১০ দিন বন্ধ থাকায় খোলার সঙ্গে সঙ্গে লেনদেনের কিছুটা চাপ বেড়েছে। স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি লেনদেন হয়েছে।
জনতা ব্যাংক যমুনা ফিউচার পার্ক শাখা ব্যবস্থাপক আজাদুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, রোববার স্বাভাবিকের তুলনায় দেড়গুণ বেশি লেনদেন হয়েছে।
রাজধানীর গুলশান, যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা ও মতিঝিলের শাখাগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কর্মকর্তাদের বেশির ভাগই ব্যাংকে এসেছেন। তারা নিজেদের মধ্যে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। টানা বন্ধের পর ব্যাংক খুললে যে ধরনের ভিড় হওয়ার কথা, তেমন ভিড় ছিল না। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত লেনদেন চলে। তবে ব্যাংক খোলা থাকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
গুলশান ও মতিঝিলের একাধিক শাখা ব্যবস্থাপক যুগান্তরকে বলেন, ব্যাংকে এখন নগদ টাকা জমা ও উত্তোলনের বেশি চাপ নেই। ঈদের আগে নতুন টাকার জন্য চাপ ছিল। ব্যবসায়িক কার্যক্রমের জন্যই বেশির ভাগ গ্রাহক ব্যাংকে আসেন। এখনো পুরোদমে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু হয়নি। ফলে সার্বিকভাবে ব্যাংকেও চাপ কম।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ৫ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে একটানা ১০ দিন বন্ধ ছিল। আর্থিক খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে নিকট অতীতে একটানা ১০ দিন ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধের নজির নেই। ব্যাংক বন্ধ থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যেও এক ধরনের স্থবিরতা নেমে এসেছে।
বন্ধের এ সময়ে লেনদেন করতে গিয়ে ব্যাংক গ্রাহকদের নানা ভোগান্তি পোহাতে হয়। অনেক গ্রাহক এটিএম থেকে প্রয়োজনীয় সেবা পাননি। বেশির ভাগ ব্যাংক তাদের নিজেদের গ্রাহক ছাড়া অন্য ব্যাংকের গ্রাহকদের জন্য এটিএম সেবা সীমিত করে দিয়েছিল। এ কারণে এটিএম থেকে অনেকে টাকা তুলতে পারেননি। তবে অনলাইন বা ইন্টারনেটনির্ভর লেনদেন চালু ছিল।
