|
ফলো করুন |
|
|---|---|
এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পপি দীর্ঘদিন ধরেই পর্দার বাইরে। বিয়ে করে সংসারী হওয়ার পর ধীরে ধীরে নিজেকে অভিনয় থেকে সরিয়ে নেন তিনি। তবে কয়েক মাস আগে পারিবারিক জমি নিয়ে বিরোধের ঘটনায় থানায় জিডি করলে আবারও আলোচনায় আসেন। সেসময় জানা যায়, সংসার ও সন্তানকে ঘিরেই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এই তারকা।
আজ বুধবার পপির জন্মদিন। বিশেষ দিনটি একেবারে ঘরোয়াভাবেই কাটাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। গণমাধ্যমকে পপি বলেন, ‘যখন সিনেমায় নিয়মিত কাজ করেছি, তখন জন্মদিন ছিল উৎসবের মতো। দিনভর মানুষ আসত, ভক্তরা ফোন দিতেন, কেউ কেউ বাসায় কেক-ফুল পাঠাতেন। কখনো কখনো শুটিং সেটেই জন্মদিন উদযাপন করেছি। পপি ফ্যান ক্লাবগুলোও দেশজুড়ে নানা আয়োজন করত। আজকের জন্মদিন ঘরোয়াভাবেই কাটবে। কিছু এতিমখানায় কোরআন খতম ও খাবারের আয়োজন করা হয়েছে।’
এরপর তিনি আরও বলেন, ‘পরিবারের জন্য দায়িত্ব পালন করতে হয় ঠিক, তবে নিজের ভিত্তি শক্ত না করে সবার জন্য সবকিছু বিলিয়ে দেওয়া উচিত নয়। কারণ পরে যেন কেউ আঙুল তুলে কথা না বলতে পারে। একসময় ভেবেছিলাম সবাই আমার। পরে দেখলাম কেউই আর আমার নেই। সেই কঠিন সময়ে আমার ইন্ডাস্ট্রির মানুষ আর স্বামী আদনান পাশে ছিল। তার সমর্থনেই পথচলা সহজ হয়েছে।’
এদিকে শিগগিরই মুক্তি পেতে যাচ্ছে পপি অভিনীত ‘ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ সিনেমাটি। এছাড়াও শুটিং আটকে রয়েছে ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’ সিনেমার। সিনেমাটির শুটিং আবার শুরু হবার কথা থাকলেও পপির ফেরার সম্ভাবনা নেই বলেই জানা গেছে।
পপিকে সর্বশেষ দেখা গেছে ২০১৯ সালে, ‘দ্য ডিরেক্টর’ সিনেমাতে। এর পরের বছর ‘ধোঁয়া’ নামের আরেকটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি, কিন্তু ছবিটির কাজ আর শুরু হয়নি।
গুণী নির্মাতা মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘কুলি’ সিনেমাতে ওমর সানীর বিপরীতে ঢালিউডে অভিষেক হয় পপির। অভিষেক সিনেমাতেই তিনি সারা বাংলাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। সিনেমাতে তার অনবদ্য অভিনয় এবং তার গ্ল্যামারাস উপস্থিতি তাঁকে প্রথম সিনেমাতেই নায়িকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। যে কারণে এর পরের পথচলাটা যেন পপির জন্য কিছুটা হলেও সহজ হয়ে যায়।
পপি অভিনীত চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে—‘দরদি সন্তান’, ‘চারিদিকে শত্রু’, ‘অন্যায় আবদার’, ‘এই মন তোমাকে দিলাম’, ‘জোর’, ‘মনের মিলন’, ‘মানুষ মানুষের জন্য’, ‘প্রাণের প্রিয়তমা’, ‘পাহারাদার’, ‘অবুঝ মনের ভালোবাসা’, ‘কারাগার’, ‘লাল বাদশা’, ‘দু’জন দু’জনার’, ‘মা যখন বিচারক’, ‘বিদ্রোহ চারিদিকে’, ‘মা যখন বিচারক’, ‘অনেক দিনের আশা’, ‘ভালোবাসার ঘর’, ‘জীবন মানেই যুদ্ধ’, ‘আমার ঘর আমার বেহেস্ত’, ‘বিদ্রোহী সন্তান’, ‘নারীরাও প্রতিবাদী’, ‘রানী কুঠির বাকি ইতিহাস’, ‘শ্রেষ্ঠ সন্তান’, ‘জগৎ সংসার’, ‘মেঘের কোলে রোদ’, ‘কী যাদু করিলা’, ‘বস্তির রানী সুরিয়া’ ইত্যাদি।
