বাগদান সারলেন গায়ক তানজীব, কনে আর্মি অফিসার
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:০১ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সংগীতাঙ্গনের জনপ্রিয় গায়ক, সুরকার ও সংগীত পরিচালক তানজীব সারোয়ার জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করলেন। গত শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকার মিরপুর সেনানিবাস এলাকার সিএসডিতে বাগদান সম্পন্ন হয় তার। পাত্রী তার দীর্ঘদিনের প্রেমিকা সানজিদা রহমান, পেশায় একজন সেনা কর্মকর্তা।
শনিবার সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে বাগদানের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেন তানজীব সারোয়ার। এরপরই গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন তিনি।
এ সংগীতশিল্পী বলেন, তাদের এনগেজমেন্ট সম্পন্ন। একেবারে পারিবারিকভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। দুই পরিবারের কাছের মানুষ উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে।
সানজিদা রহমানের সঙ্গে পরিচয় প্রসঙ্গে তানজীব সারোয়ার বলেন, ২০১৪ সালে আমার গাওয়া 'দিল আমার' গানটি প্রকাশিত হয়। এরপর আমি ছায়ানটে গান শিখতে যাই। ছায়ানটে তখন নজরুলসংগীতে তালিম নিচ্ছিল সাবা। সেখানেই প্রথম সে আমাকে দেখে। এরপর আমার ফেসবুকে পোস্ট করা 'দিল আমার' গানের প্রশংসা করে মন্তব্য করে।
তিনি বলেন, এরপর দীর্ঘ ১০ বছর আমাদের কোনো যোগাযোগ ছিল না। চলতি বছরের শুরুতে আমি হঠাৎ সাবার ফেসবুক স্টোরিতে পোস্ট করা পেইন্টিংয়ে প্রশংসাসূচক মন্তব্য করি। তাকে অভিনন্দন জানাই। এরপর আমাদের আবার কথা শুরু হয়। একটা সময় জানতে পারি, সে সেনা কর্মকর্তা।
এ সংগীতশিল্পী বলেন, আমি সরাসরি তাকে বলি— এখন প্রেম করার বয়স নেই, আমরা যদি সম্পর্কটা এগিয়ে নিতে চাই, তাহলে বিয়ে করাটাই উত্তম। দুই পরিবারের কথাবার্তা হয়। এরপর সময়–সুযোগ বুঝে আমরা আংটিবদলের দিনক্ষণ ঠিক করি। সামনে সুবিধাজনক সময়ে আমাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হবে।
তানজীব সারোয়ার বলেন, আমাদের সম্পর্কটা ইন্টারেস্টিং। ও আর্মি অফিসার, আমি গায়ক। পৃথিবীর ইতিহাসে এমনটি বিরল; আমি এমনটি দেখিনি, শুনিনি। আমার মনে হয় না কোথাও কোনো দেশে আর্মি অফিসার ও গায়কের বিয়ে হয়েছে। ও আর্মিতে লং কোর্স করেছে। এখন লেফটেন্যান্ট পদে রয়েছে। ওদের বাসা ঢাকার ওয়ারীতে।
উল্লেখ্য, তানজিব সারোয়ার ‘দিল আমার’, ‘মেঘ মিলন’ ও ‘গা ছুঁয়ে বলো’—গানগুলো গেয়ে সংগীতপ্রেমীদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। ২০১১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে সংগীতাঙ্গনে প্রবেশ করেন এ গায়ক। তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘অন্দরমহল’ প্রকাশ পায় ২০১১ সালে। ২০১৪ সালে প্রকাশ পায় তার দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ‘মেঘবরণ’। সম্প্রতি ‘পায়েল’ নামের একটি সিনেমাতেও তিনি প্লেব্যাক করেছেন।
