Logo
Logo
×

পরবাস

মালদ্বীপে হিউম্যান হারমনি অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৪ মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি

Icon

আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া থেকে

প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৫, ০১:০৬ এএম

মালদ্বীপে হিউম্যান হারমনি অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৪ মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি

মানবসম্প্রীতি ও সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে মালদ্বীপে আয়োজিত হিউম্যান হারমনি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫-এ সম্মানিত হয়েছেন চারজন মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি।

রাজধানী মালের ভিলা ইন্টারন্যাশনাল কলেজ অডিটোরিয়ামে বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাতে এশিয়ান বিজনেস পার্টনারশিপ সামিট আয়োজিত ‘হিউম্যান হারমনি কনফারেন্স ও অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’-এর বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

এবারের আসরে বাংলাদেশসহ আটটি দেশের মোট ৪০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

পুরস্কারপ্রাপ্ত মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা হলেন- এনটিভির স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ও মালয়েশিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটি প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি কায়সার হামিদ হান্নান, বাংলা প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক সদস্য ও ডিবিসি নিউজ ও দৈনিক কালের কণ্ঠের মালয়েশিয়া প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলী।

ব্যবসায়ী ক্যাটাগরিতে সিআইপি মো. সাহাবুদ্দিন, গ্লোবাল রিসোর্স এসডিএন বিএইচডির পরিচালক মো. মোশাররফ হোসাইন। মিস স্টার্স ইউনিভার্স বিজয়ী ও মডেল অনন্যা আফরিনকেও বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মালদ্বীপের মৎস্য ও মহাসাগর সম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ মুথালিব। তিনি বলেন, মানবসম্প্রীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পর্যটন ও বাণিজ্য— এই পাঁচটি খাতই টেকসই উন্নয়নের মূল স্তম্ভ। এশীয় দেশগুলোর সম্মিলিত উদ্যোগে মানবতার বন্ধন আরও সুদৃঢ় করা জরুরি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপের অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আহমেদ সাঈদ মুস্তাফা, নেপালের সাবেক পর্যটনমন্ত্রী আনন্দ প্রসাদ পোখারেল, মালদ্বীপের ক্রীড়া উপমন্ত্রী হোসাইন নিহাদ এবং ইসলামিক বিষয়ক উপমন্ত্রী আব্দুল জালিল ইসমাইল।

সভাপতিত্ব করেন এশিয়ান বিজনেস পার্টনারশিপ সামিটের নির্বাহী পরিচালক গোলাম ফারুক মজনু। তিনি বিশ্ব শান্তি ও মানবসম্প্রীতির ওপর জোর দিয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক ব্যবসা ও পর্যটনকে আরও সমৃদ্ধ করতে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সহজ ভিসা নীতি প্রণয়ন সময়ের দাবি।

অনুষ্ঠানে বক্তারা মানবসম্প্রীতি জোরদার, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন, পর্যটন শিল্পের বিকাশ এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

পুরস্কারপ্রাপ্তরা অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেন, এই মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আমাদের জন্য গর্বের। বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে পেরে আমরা সম্মানিত বোধ করছি। ভবিষ্যতে মানবসম্প্রীতি ও উন্নয়ন খাতে আরও কাজ করার অনুপ্রেরণা জোগাবে এই স্বীকৃতি।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম