পিএসজির কাছে বড় অংকের ক্ষতিপূরণ দাবি এমবাপ্পের
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:০১ পিএম
কিলিয়ান এমবাপ্পে। ছবি- সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
প্যারিস সেন্ট-জার্মেইন (পিএসজি) ও কিলিয়ান এমবাপ্পের দীর্ঘদিনের টানাপোড়েন এবার এক নতুন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। দু’পক্ষই এখন একে অপরের বিরুদ্ধে বিশাল অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দাবি করছে—যা ফুটবল দুনিয়ার ইতিহাসে অন্যতম বড় আইনি সংঘাতে রূপ নিয়েছে।
এমবাপ্পের অভিযোগ, তার চুক্তিকে অস্থায়ী নয়, স্থায়ী হিসেবে গণ্য করার কথা ছিল। সে কারণেই তিনি দাবি তুলেছেন ২৬০ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৩০১ মিলিয়ন ডলার), যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ হাজার ৭২০ কোটি টাকা। এই দাবির মধ্যে রয়েছে—অবৈতনিক বেতন, বোনাস, চাকরি থেকে অব্যাহতি পাওয়ার ক্ষতিপূরণ, অন্যায়ভাবে বরখাস্তের অভিযোগ এবং মানসিক চাপের কারণে ক্ষতি।
এর আগে তিনি প্রায় ৫৫ মিলিয়ন ইউরো বকেয়া পাওনার দাবি করেছিলেন—তুলনায় যা অনেক কম।
অন্যদিকে পিএসজি আরও বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে—৪৪০ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৫১০ মিলিয়ন ডলার), যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৬ হাজার ২৪০ কোটি। ক্লাবটির অভিযোগের মধ্যে আছে-
> ফ্রি ট্রান্সফারে চলে যাওয়ায় সম্ভাব্য ট্রান্সফার ফি হারানো
> আল হিলালের ৩০০ মিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান
> চুক্তিভঙ্গ ও অসৎ আচরণ
> ক্লাবের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা
পিএসজির দাবি, এমবাপ্পে প্রায় ১১ মাস ধরে চুক্তি নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত গোপন রেখেছিলেন, যার ফলে তারা ট্রান্সফারের সুযোগ হারায়। এছাড়া ২০২৩ সালের শেষ দিকে হওয়া বেতন কমানোর চুক্তিও এমবাপ্পে পরে অস্বীকার করেছেন বলে ক্লাবের অভিযোগ।
এদিকে এমবাপ্পের আইনজীবীরা বলছেন—‘আইন যা অনুমোদন করে, এমবাপ্পে শুধু সেটুকুই চাইছেন। একজন কর্মীর মতো নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চান।’ তারা আরও জানান, পিএসজির তথাকথিত ‘লফটিং’—মূল দল থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা—এক ধরনের নৈতিক হয়রানি।
২০২৩–২৪ মৌসুম শুরুর আগে চুক্তি নবায়ন না করায় এমবাপ্পেকে প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। পরে আলোচনার পর তিনি দলে ফিরলেও সম্পর্ক আর স্বাভাবিক হয়নি। শেষ পর্যন্ত ২০২৪ সালের গ্রীষ্মে তিনি ফ্রি ট্রান্সফারে পিএসজি ছাড়েন এবং রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন। সাত বছরে ক্লাবের হয়ে ২৫৬ গোল করলেও তার বিদায় বেলার অভিজ্ঞতা ছিল তিক্ত।
হাইপ্রোফাইল এই মামলা এখন ফরাসি আদালতে বিচারাধীন। আগামী মাসেই রায় ঘোষণা হতে পারে।

