আট কুকুর ছানা হত্যা, উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ফোন
আখতারুজ্জামান আখতার, পাবনা
প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৩ পিএম
উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার। ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
পাবনার ঈশ্বরদীতে মা কুকুরের অগোচরে আটটি কুকুর ছানাকে বস্তাবন্দি করে পুকুরে ডুবিয়ে হত্যার ঘটনায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবং মহাপরিচালক ফোন করেন স্থানীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে। তারা সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন বলেন, ‘ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচিত সমালোচিত হয়েছে। যে কারণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ফোন করেছিলেন। তিনি বলেছেন- এ ঘটনা অমানবিক। এই ঘটনা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে। তাই প্রাণী হত্যায় জড়িতদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এছাড়াও মহাপরিচালক স্যারও ফোন করে তার পক্ষে মামলা দায়ের করার নির্দেশনা দিয়েছেন।’
এদিকে দৈনিক যুগান্তরসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কুকুর ছানা নিয়ে নিষ্ঠুরতার নিউজ ছাপা হয়। পুরো দেশে এ ঘটনাটি তোলপাড় সৃষ্টি হলে মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় এ ঘটনায় মামলা করেন। মামলায় নিশি রহমানকে একমাত্র আসামি করা হয়। এ মামলার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আসামি নিশি রহমানকে গ্রেফতার করা হয়।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার বুধবার জানান, মামলার পর মঙ্গলবার দিনগত রাত দেড়টার দিকে অভিযান চালিয়ে ঈশ্বরদী পৌর সদরের রহিমপুর গার্লস স্কুলের পাশে একটি বাসার চারতলা থেকে নিশি রহমানকে আটক করা হয়। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে।
ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, কুকুরছানা হত্যার ঘটনায় ক্ষুদ্র কৃষক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়নকে সোমবার (১ ডিসেম্বর) গেজেটেড কোয়ার্টার ছাড়তে লিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারা মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বিকালে বাসা খালি করে অন্যত্র চলে গেছেন।’
