‘এইচএস–১’
প্রথমবারের মতো হাইপারস্পেকট্রাল স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে পাকিস্তান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:০২ পিএম
‘এইচএস–১’। ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
পাকিস্তানের মহাকাশ ও উচ্চ বায়ুমণ্ডল গবেষণা কমিশন (সুপারকো) ঘোষণা করেছে, দেশের প্রথম হাইপারস্পেকট্রাল স্যাটেলাইট ‘এইচএস–১’ (এইচএস–১) আগামী ১৯ অক্টোবর চীনের জিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার (জেএসএলসি) থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে।
এটি পাকিস্তানের মহাকাশ অভিযাত্রায় এক নতুন যুগের সূচনা করবে। উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর এই স্যাটেলাইট কৃষি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, নগর পরিকল্পনা ও পরিবেশ পর্যবেক্ষণে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে জিও নিউজ।
কৃষিক্ষেত্রে এইচএস–১–এর হাইপারস্পেকট্রাল ইমেজিং প্রযুক্তি সুনির্দিষ্ট কৃষিকাজে সহায়তা করবে। ফসলের স্বাস্থ্য, মাটির আর্দ্রতা ও সেচপদ্ধতি সম্পর্কে নির্ভুল তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে ফলন ১৫–২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার হবে।
নগর পরিকল্পনায় স্যাটেলাইটটির অত্যাধুনিক সেন্সর অবকাঠামো মানচিত্রায়ণ, নগর সম্প্রসারণ বিশ্লেষণ ও পরিবেশগত পরিবর্তন পর্যবেক্ষণে সহায়তা করবে। মানুষের তৈরি স্থাপনার ‘স্পেকট্রাল সিগনেচার’ ধারণের সক্ষমতা টেকসই শহর উন্নয়ন, সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও ভূমি ব্যবহার নীতিনির্ধারণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
পরিবেশ পর্যবেক্ষণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় এইচএস–১ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। স্যাটেলাইটটির উন্নত চিত্রগ্রহণ প্রযুক্তি বন্যা পূর্বাভাস, ভূমিধস শনাক্তকরণ এবং ভূ–ঝুঁকি মূল্যায়নে সহায়তা করবে—বিশেষ করে কারাকোরাম মহাসড়ক ও উত্তরাঞ্চলে।
এই তথ্যব্যবস্থা বন্যা, ভূমিকম্প, বননিধন ও ভূমিক্ষয় পরবর্তী বিশ্লেষণ, পরিবহন নেটওয়ার্ক মূল্যায়ন ও পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এইচএস–১ স্যাটেলাইট যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে পাকিস্তানের রিমোট সেন্সিং বহর আরও শক্তিশালী হবে। এর আগে দেশটি ২০১৮ সালের জুলাইয়ে পিআরএসএস–১, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ইও–১ এবং জুলাইয়ে কেএস–১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে।
মিশনটি জাতীয় মহাকাশনীতি ও সুপারকোর ‘ভিশন ২০৪৭’-এর অংশ, যার লক্ষ্য পাকিস্তানকে মহাকাশ প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের শীর্ষ দেশগুলোর কাতারে পৌঁছে দেওয়া এবং বিজ্ঞানভিত্তিক টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা।

