Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

‘পাকিস্তানের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক সম্প্রসারণে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র’

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৩৮ পিএম

‘পাকিস্তানের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক সম্প্রসারণে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র’

বাঁ থেকে- পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। ফাইল ছবি

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, ওয়াশিংটন পাকিস্তানের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক সম্প্রসারণের সুযোগ দেখছে, তবে এই উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রের ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের খাতিরে কোনোভাবে ক্ষতিকর নয়।

রোববার (২৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে জিও নিউজ

স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সংবাদ সম্মেলনের প্রতিলিপি অনুযায়ী, এক সাংবাদিক রুবিওকে জিজ্ঞেস করেন, পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে ভারত কোনো উদ্বেগ জানিয়েছে কি না।

এর জবাবে রুবিও বলেন, ‌‘তেমন কিছু নয়—তবে ঐতিহাসিকভাবে পাকিস্তান-ভারতের মধ্যে যে উত্তেজনা রয়েছে, তার কারণে তাদের কিছু উদ্বেগ থাকা স্বাভাবিক।’

তিনি বলেন, ‘ভারতকে বুঝতে হবে যে যুক্তরাষ্ট্রকে একাধিক অংশীদারের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে হয়। আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক সম্প্রসারণের একটি সুযোগ দেখছি। এটি আসলে এমন দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করার অংশ, যাদের সঙ্গে আমাদের সাধারণ স্বার্থ মেলে।’

রুবিও আরও বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের এই অগ্রগতি কোনোভাবেই ভারতের সঙ্গে ঐতিহাসিক, গভীর ও গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করবে না।


সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এই নতুন ঘনিষ্ঠতা শুধু ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক উত্তেজনা প্রশমনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার কারণে নয়; এর আগেই ওয়াশিংটন ইসলামাবাদের সঙ্গে ‘কৌশলগত অংশীদারত্ব পুনর্গঠনে’ আগ্রহ প্রকাশ করেছিল।

তিনি উল্লেখ করেন, উভয় দেশের দীর্ঘ সহযোগিতার ইতিহাস রয়েছে, বিশেষ করে সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে। এখন যুক্তরাষ্ট্র এই সম্পর্ককে নিরাপত্তার বাইরেও প্রসারিত করতে চায়।

রুবিও বলেন, ‘আমি মনে করি সম্পর্কের এই ইতিবাচক অগ্রগতি উৎসাহজনক, এবং এটি ভারতের সঙ্গে বা অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্কের বিকল্প নয়।’

গত কয়েক বছরের কূটনৈতিক স্থবিরতার পর পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে নতুন উষ্ণতা এসেছে।

এর আগে, চলতি বছরের মার্চে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ২০২১ সালে কাবুলে ভয়াবহ বোমা হামলার জন্য দায়ী ইসলামিক স্টেট খোরাসান শাখার এক সদস্যকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়।


এরপর চলতি বছরের মে মাসে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সামরিক সংঘাতের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি মধ্যস্থতা করেন। 

এই ভূমিকার জন্য পাকিস্তান ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য প্রস্তাব দেয়।

এদিকে, ট্রাম্প একাধিকবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম