মিশরের প্রস্তাব
অস্ত্র জমা দিলে রাফাহ ত্যাগের সুযোগ পাবে হামাস যোদ্ধারা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৪৩ পিএম
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে— রাফাহ সীমান্তের অনেক হামাস যোদ্ধা এখনো যুদ্ধবিরতির খবর জানেন না। হামাস যোদ্ধাদের ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ইসরাইল-নিয়ন্ত্রিত গাজা উপত্যকার রাফাহ এলাকায় অবস্থানরত ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস যোদ্ধাদের অস্ত্র সমর্পণের বিনিময়ে নিরাপদে অন্য এলাকায় যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে মিশর।
আলোচনায় জড়িত দুই সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এমন দাবি করেছে জেরুসালেম পোস্ট।
একজন মিশরীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, মধ্যস্থতাকারী মিশর প্রস্তাব দিয়েছে— রাফাহ সীমান্তে থাকা হামাস যোদ্ধারা অস্ত্র হস্তান্তর করবে এবং এলাকার ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গগুলোর অবস্থান জানাবে যাতে সেগুলো ধ্বংস করা যায়। এর বিনিময়ে তারা নিরাপদে অন্যত্র চলে যেতে পারবে।
ইসরাইল ও হামাস এখনো এই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি, তবে আলোচনা চলছে বলে তিনটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
মার্কিন-বিশেষ মধ্যস্থতায় ১০ অক্টোবর কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর থেকে রাফাহ এলাকায় ইসরাইলি বাহিনীর ওপর অন্তত দুটি হামলা হয়েছে। ইসরাইল এর জন্য হামাসকে দায়ী করেছে, যদিও গোষ্ঠীটি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
দুই সূত্র জানায়, রাফাহে অবস্থানরত হামাস যোদ্ধারা— যাদের সঙ্গে মার্চের পর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বলে বলা হয়েছে — হয়তো এখনো জানে না— যুদ্ধবিরতি চলছে। তাদের সরিয়ে নেওয়া যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
কতজন হামাস যোদ্ধা রাফাহ এলাকায় অবস্থান করছে, তা সূত্রগুলো জানায়নি।
ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনা
গাজায় চলমান যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রথম ধাপই হলো এই যুদ্ধবিরতি।
এই পরিকল্পনার আওতায় হামাস ইতোমধ্যে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলার সময় অপহৃত শেষ ২০ জীবিত বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে প্রায় ২,০০০ ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে। ইসরাইলি সেনারা পশ্চিম গাজা থেকে প্রত্যাহার করেছে, যেখানে হামাস এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
পরবর্তী ধাপের আলোচনায় হামাসের নিরস্ত্রীকরণ এবং গাজার প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তরের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী, গাজা শাসন করবে একটি প্রযুক্তিগত (টেকনোক্র্যাটিক) ফিলিস্তিনি কমিটি, যার ওপর আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধান থাকবে, এবং সেখানে একটি আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
যুদ্ধবিরতির পর হামাস ২৮ জন মৃত বন্দির মধ্যে ২২ জনের মরদেহও হস্তান্তর করেছে। গোষ্ঠীটির দাবি, গাজার ধ্বংসস্তূপে বাকি মরদেহগুলো খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে ইসরাইল হামাসকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্ব করার অভিযোগ তুলেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরাইল এ পর্যন্ত ২৮৫ ফিলিস্তিনির মরদেহ ফেরত দিয়েছে।


