Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

বিরোধীদের তীব্র প্রতিক্রিয়া

বিতর্কিত বিল পাস, সেনাপ্রধান পাবেন বাড়তি ক্ষমতা

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০২:০০ পিএম

বিতর্কিত বিল পাস, সেনাপ্রধান পাবেন বাড়তি ক্ষমতা

নতুন আইন কার্যকর হলে সেনাপ্রধান পাবেন বড় আইনি সুবিধা। সংগৃহীত ছবি

পাকিস্তানের পার্লামেন্ট দেশটির সংবিধানের ২৭তম সংশোধনী পাস করেছে। এই বিতর্কিত সংশোধনী দেশটির সেনাপ্রধানের ক্ষমতা আরও বাড়াবে। এর মাধ্যমে তাকে আজীবন আইনি দায়মুক্তি দেবে। একই সঙ্গে এটি সুপ্রিম কোর্টের স্বাধীনতাও সীমিত করবে। সমালোচকেরা একে গণতন্ত্রের মৃত্যু বলছে। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার (১২ নভেম্বর) রাতে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি তথা জাতীয় পরিষদে বিলটি পাস হয়। পাকিস্তানের ক্ষমতাধর সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির এই ২৭ তম সংশোধনীর প্রধান উপকারভোগী।

বুধবার নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে দুই ধাপে ২৩৪ ভোটে পাস হয় ২৭তম সংশোধনী। বিপক্ষে ভোট পড়ে মাত্র চারটি। এর আগে সোমবার, বিরোধীদের বয়কটের পরও উচ্চকক্ষ সিনেটে পাস হয় বিলটি। এখন বিলটি আবার সিনেটে পাঠানো হবে। সেখানে আরেক দফা পরিমার্জনের পর আবারও ভোটাভুটির মাধ্যমে পাস হবে সংশোধনীটি।

এরপর প্রেসিডেন্ট স্বাক্ষর করলেই তা প্রণয়ন করা হবে। সংবিধানের ২৭তম সংশোধনীতে নতুন সৃষ্ট প্রতিরক্ষা প্রধান পদের মাধ্যমে আজীবন সুরক্ষা দেয়া হবে সেনাপ্রধানকে এবং দায়িত্বে থাকাকালীন যে কোনো ফৌজদারি মামলা থেকে দায়মুক্তি পাবেন।

প্রতিরক্ষা প্রধানের অধীনে থাকবে নৌ ও বিমানবাহিনী। বিলটি এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এই বিলটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। বিশ্লেষকদের শঙ্কা, ভঙ্গুর গণতন্ত্র থেকে পুরোদস্তুর সামরিক শাসনের দিকে চলে যেতে পারে পাকিস্তান। অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বৃদ্ধি পাবে সামরিক প্রভাব। 

সাংবিধানিক আইনজীবী সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এই সংশোধনী ‘পাকিস্তানের বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ধারণাটিকেই ধ্বংস করে দিয়েছে। এর মাধ্যমে দেশটি কার্যত আজীবন একনায়কতন্ত্রের পথে হাঁটছে।’

বিরোধীরা বলছেন, এই আইন সামরিক শাসনকে সংবিধানে স্থায়ী রূপ দিচ্ছে এবং পাকিস্তানকে পূর্ণ কর্তৃত্ববাদে ঠেলে দিচ্ছে। বিরোধীদলগুলো বলেছে, সরকার বিলটি খুব দ্রুত পাস করাতে চাইছে। প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলোর ব্যাপ্তি নিয়েও তারা নাখোশ।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম