Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

ভর্তি পরীক্ষার জন্য ৩৫ মিনিট বিমান চলাচল বন্ধ

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৭ পিএম

ভর্তি পরীক্ষার জন্য ৩৫ মিনিট বিমান চলাচল বন্ধ

দক্ষিণ কোরিয়ায় বৃহস্পতিবার দেশের অত্যন্ত কঠিন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ। পরীক্ষার্থীরা যেন সময়মতো কেন্দ্রগুলোতে পৌঁছাতে পারে, সে জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল, আর পরীক্ষার সময় অর্ধঘণ্টার জন্য সব ফ্লাইট বন্ধ রাখা হয়।

দেশটির তীব্র প্রতিযোগিতামূলক এ কলেজ ভর্তি পরীক্ষা, যা ‘সুনুং’ নামে পরিচিত। সুনুং শুরু হয়েছিল সকাল থেকে। তবে উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল দুপুর ১টা ৫ মিনিট থেকে ১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত। কারণ, এই সময়ে ইংরেজি লিসনিং পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সময়ে জরুরি ফ্লাইট ছাড়া আর কোনো বিমান ওঠানামা করতে পারেনি।

দক্ষিণ কোরিয়ায় কলেজ ভর্তি পরীক্ষা বা সুনুংয়ের ওপর নির্ভর করে শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, ভবিষ্যৎ পেশা, সামাজিক মর্যাদা—সবকিছুর পথ খুলে যায়। তাই কর্তৃপক্ষও এই পরীক্ষাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নেয়। প্রতিবছরের মতো এবারও পুলিশের দ্রুত সেবা দেখা গেছে। কোনো শিক্ষার্থী দেরি করলে তাকে মোটরসাইকেলে করে দ্রুত কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়েছে। চলতি বছর এই পরীক্ষায় ৫ লাখ ৫০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছেন।

বিকাল ১টা ৫ মিনিট থেকে ১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ইনচন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের সব বিমানবন্দরে উড্ডয়ন ও অবতরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, যাতে ইংরেজি পরীক্ষার শ্রবণ অংশের সময় পরীক্ষার্থীদের কোনো বিরক্তি না হয়।

এই সিদ্ধান্তে মোট ১৪০টি ফ্লাইট ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার মধ্যে ৬৫টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও রয়েছে। ফ্লাইট ট্র্যাকারগুলো দেখায়, পরিবহন মন্ত্রণালয় তিন হাজার মিটার (৯৮৪৩ ফুট) এর নিচে বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করায় বেশ কিছু বিমান বিমানবন্দরের কাছে আকাশে চক্কর দিচ্ছিল।

দক্ষিণ কোরিয়ার আর্থিক বাজার ও অফিসগুলো স্বাভাবিকের চাইতে এক ঘণ্টা দেরিতে খুলেছে, যাতে পরীক্ষার্থীরা ৯ ঘণ্টার এই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার জন্য সময়মতো কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারে। দেশটির অতিমাত্রায় প্রতিযোগিতামূলক সমাজে এই পরীক্ষাকে ভবিষ্যতের সাফল্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হয়।

সুনুং পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে কোরিয়ায় কিছু কুসংস্কারও চালু আছে। যেমন এদিন কোনো পরীক্ষার্থী ‘সি-উইড’ স্যুপ খান না। কারণ, এতে নাকি পরীক্ষার ফল খারাপ হতে পারে। আর পরীক্ষার দিন সকালে সন্তানদের হলে পাঠিয়ে অনেকের মা-বাবা গির্জা বা বৌদ্ধমন্দিরে প্রার্থনা করতে চলে যান।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম