Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহর’ আঘাতে লণ্ডভণ্ড শ্রীলঙ্কা, নিহত ৫৬

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৬ এএম

ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহর’ আঘাতে লণ্ডভণ্ড শ্রীলঙ্কা, নিহত ৫৬

কলম্বোর উপকণ্ঠে মালওয়ানায় বন্যায় প্লাবিত রাস্তা দিয়ে মোটরবাইক নিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন বাসিন্দারা। ছবি: সংগৃহীত

শ্রীলঙ্কায় ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’ এর তাণ্ডবে কমপক্ষে ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া অন্তত ২১ জন নিখোঁজ হয়েছে। খবর আল জাজিরার। 

ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’র প্রভাবে শ্রীলঙ্কায় গত এক সপ্তাহ ধরে ভারি বৃষ্টিপাত চলছে। এর ফলে ভূমিধস ও হড়কা বন্যার ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দেশটির কর্মকর্তারা জানান, এতে ৪০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন।

এই পরিস্থিতিকে আরও ভয়ানক করে তুলেছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’। আজ শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সকালে দ্বীপদেশটির ওপর দিয়ে বয়ে যায় ঘূর্ণিঝড়টি। দেশটির আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঝোড়ো হাওয়ার তাণ্ডব এখনও চলছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশটির বেশ কিছু জায়গায় ৩০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টি হয়েছে।

যার জেরে আবারও ভূমিধস ও হড়কা বানের সৃষ্টি হয়েছে। এতে বহু ঘরবাড়ি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র (ডিএমসি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চা উৎপাদনকারী জেলা বাদুল্লায় রাতের বেলায় ভূমিধসে ২১ জন নিহত হয়েছেন।

ভারি বর্ষণ আর ভূমিধসের কারণে দেশজুড়ে ৪৪ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির পূর্ব ও মধ্যাঞ্চল। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। শ্রীলঙ্কা থেকে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওগুলোতে দেখা যাচ্ছে, বন্যার পানি শহরগুলোর ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সাথে সাথে ঘরবাড়ি ভাসিয়ে নিচ্ছে। ডিএমসি জানিয়েছে, বহু মানুষ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়েছেন। তাদের উদ্ধারের কাজ চলছে। তবে প্রত্যন্ত জায়গাগুলোতে উদ্ধারকারী দল পৌঁছোতে পারছে না।


ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’ একটি গভীর নিম্নচাপ হিসেবে শুরু হয়। কিন্তু পরে তা দ্রুতই তীব্র হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। ঘূর্ণিঝড়টি তাণ্ডব চালানোর পরও শ্রীলঙ্কায় নদীর পানিস্তর ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র তথা ডিএমসি নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের উঁচু ভূমিতে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। দেশটির সেচ বিভাগ জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কেলানি নদী উপত্যকার নিম্নাঞ্চলের জন্য ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে রাজধানী কলম্বো।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম