ভয়াবহ বন্যা
শ্রীলংকায় তিন বাংলাদেশিসহ ৫০ জনকে উদ্ধার ভারতীয় বাহিনীর
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৩১ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ঘূর্ণিঝড় ডিটওয়াহের জেরে শ্রীলংকায় ভয়াবহ বন্যায় আটকে পড়াদের উদ্ধারে দেশটির সঙ্গে সমন্বয় করে অভিযান পরিচালনা করছে ভারতীয় বিমানবাহিনী। এরই মধ্যে ১০টি দেশের ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিন বাংলাদেশিও আছেন।
উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে শ্রীলংকার ১৪ জন, ১২ ভারতীয়, ছয়জন বেলারুশের, পাঁচজন ইরানের, চারজন দক্ষিণ আফ্রিকার, পোল্যান্ডের তিনজন, তিনজন বাংলাদেশি, জার্মানির দুই, স্লোভেনিয়ার দুই, যুক্তরাজ্যের দুই, অস্ট্রেলিয়ার এক এবং একজন পাকিস্তানি নাগরিক রয়েছেন।
ঘূর্ণিঝড় ডিটওয়াহের পর ২৮ নভেম্বর শ্রীলংকায় জরুরি সহায়তার জন্য অপারেশন ‘সাগর বন্ধু’ শুরু করে ভারত।
শ্রীলংকা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে ভারত সরকার তাৎক্ষণিকভাবে কলম্বোতে দুটি ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে ৯ দশমিক ৫ টন জরুরি ত্রাণ সরবরাহ করে। এতে তাঁবু, ত্রিপল, কম্বল, স্বাস্থ্যকর খাবারের কিট, খাওয়ার জন্য প্রস্তুত খাবার, ওষুধ, অস্ত্রোপচারের সরঞ্জামসহ আরও ৩১ দশমিক ৫ টন ত্রাণ পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া তিনটি ভারতীয় বিমানবাহিনীর বিমানসহ পাঁচজনের চিকিৎসক দল ও উদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়তার জন্য জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনীর ৮০ জনের বিশেষ নগর অনুসন্ধান ও উদ্ধার দল পাঠানো হয়েছে। ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ সুকন্যা আরও ১২ টন ত্রাণ সরবরাহ করে।
সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড়ের কারণে শ্রীলংকায় বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বুধবার(৩ ডিসেম্বর) পর্যন্ত এতে ৪৭৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৩৫৬ জন। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী এ বন্যায় সাড়ে চার লাখ পরিবার বিপদগ্রস্ত হয়েছে। অনেক দুর্গম এলাকায় অভিযান চালাতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার।
বিদ্যুৎ ও সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় দেশটির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এলাকায় এখনো নেই বিদ্যুৎ কিংবা নিরাপদ পানি। কেলানি নদীর পানির স্তর দ্রুত বাড়তে থাকায় কয়েকটি এলাকা খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শ্রীলংকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র জানিয়েছে, বিভিন্ন এলাকায় বন্যা ও ভূমিধসের পরিস্থিতি এখনও গুরুতর হওয়ায় উদ্ধারকাজে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে।

