প্যারিসের আদালতে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের মুখে টেলিগ্রাম প্রতিষ্ঠাতা পাভেল দুরভ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৫, ১২:২০ পিএম
টেলিগ্রাম প্রতিষ্ঠাতা পাভেল দুরভ। ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
প্যারিসের আদালতে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের মুখে টেলিগ্রাম প্রতিষ্ঠাতা পাভেল দুরভ
টেলিগ্রাম অ্যাপের প্রতিষ্ঠাতা পাভেল দুরভকে প্যারিসের একটি আদালতে প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রাশিয়ান বার্তা সংস্থা তাস-এর প্রতিবেদক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দীর্ঘ সময় ধরে চলা এই জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুরভ সাংবাদিকদের কোনো মন্তব্য না করে আদালত ভবন ত্যাগ করেন।
৪০ বছর বয়সি এই প্রযুক্তি উদ্যোক্তাকে ২০২৪ সালে প্যারিসে নাটকীয়ভাবে আটক করা হয়েছিল। ফ্রান্সের কর্তৃপক্ষ তার জনপ্রিয় বার্তাবহ অ্যাপ টেলিগ্রামে অবৈধ বিষয়বস্তু ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করে।
সোমবার সকালে চারজন আইনজীবীসহ প্যারিসের আদালতে হাজির হন রাশিয়া-জন্ম নেওয়া এই উদ্যোক্তা। এটি ছিল তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সংক্রান্ত তৃতীয় দফার জিজ্ঞাসাবাদ। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে— সংঘবদ্ধ অপরাধচক্রকে সহায়তা, প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বেআইনি লেনদেন, শিশু নির্যাতনের ছবি এবং অন্যান্য অবৈধ কনটেন্ট প্রচারের সুযোগ দেওয়া।
তবে দুরভ সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সোমবারের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার আইনজীবীরা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আজকের পূর্ণদিবসের শুনানিতে দুরোভ এমন ব্যাখ্যা দিয়েছেন, যা তদন্তের বিষয়বস্তু হিসেবে যে অভিযোগগুলো আনা হয়েছে, তা কতটা ভিত্তিহীন, তা প্রমাণ করে।’
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুরোভ জানান, তিনি কখনোই টেলিগ্রামকে বেআইনি ব্যবহারের উদ্দেশ্যে তৈরি করেননি, তবে প্ল্যাটফর্মে অপরাধমূলক কার্যক্রম বেড়েছে বলে স্বীকার করেন এবং কনটেন্ট পর্যবেক্ষণ আরও শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি দেন।
ফরাসি বিচার বিভাগ জানিয়েছে, দুরভের গ্রেফতারের পর থেকে টেলিগ্রামের সঙ্গে সহযোগিতার মাত্রা উন্নত হয়েছে, যা সংঘবদ্ধ অপরাধ সংক্রান্ত মামলার তদন্তে সহায়ক হচ্ছে।
প্রথমে দুরভের ওপর ফ্রান্স ছাড়ার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও, জুলাইয়ের শুরুতে তার বিচারিক নিয়ন্ত্রণ কিছুটা শিথিল করা হয়। বর্তমানে তিনি প্রতি সফরে সর্বোচ্চ দুই সপ্তাহের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থান করার অনুমতি পাচ্ছেন।
দুরভের আইনজীবীরা সোমবারের বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা আমাদের মক্কেলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ এবং তদন্ত কার্যক্রমের মধ্যে ইউরোপীয় ও ফরাসি আইনের লঙ্ঘন দৃঢ়ভাবে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি।’
তারা আরও জানিয়েছেন, ফ্রান্সে মামলার সাংবিধানিক বৈধতা যাচাইয়ের জন্য একটি আবেদন করা হয়েছে এবং একইসঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সর্বোচ্চ আদালতে একটি প্রাথমিক রায়ের আবেদনও জমা দেওয়া হয়েছে।


