চরম দুর্ভিক্ষের মুখে গাজা
ক্ষুধার জ্বালায় খাবার খুঁজছে ময়লার ভাগাড়ে
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
তীব্র ক্ষুধার বিষণ্ন ছায়ায় ছেয়ে গেছে গাজা। প্রতিটি ঘর শূন্য। বাজারগুলোয়ও শুধু ধুলো ছাড়া কিছুই চোখে পড়ে না, একেবারে খালি পড়ে আছে। চারদিকে শুধু হাহাকার-একমুঠো খাবার চাই। হাত পাতলেও দেওয়ার মতোও কেউ নেই। কোনো কোনো জায়গায় খাবার পাওয়া গেলেও দাম আকাশচুম্বী। কেনার মতো সাধ্য নেই। অনাহারে শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে শিশুর শরীর। মৃত্যুর কোলেও ঢলে পড়ছে অনেকেই। প্রতিদিনই শূন্য হচ্ছে মায়েদের কোল। এমন পরিস্থিতিতে ময়লার ভাগাড়েই ছুটছেন গাজাবাসী-যদি সেখান থেকে মেলে একটু খাবার। আলজাজিরা।
ইসরাইলি বর্বরতায় দিনদিন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে গাজার পরিস্থিতি। বুধবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অনাহারে নতুন করে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। অনাহারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে। যার মধ্যে ৮৯ জনই শিশু। সম্প্রতি খাদ্য নিরাপত্তা সংস্থা ‘ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন’ (আইপিসি) রিপোর্ট গাজায় ভয়াবহ পরিস্থিতি নিশ্চিত করেছে। গাজার অধিকাংশ অঞ্চল দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে আছে বলেও সতর্ক করেছে সংস্থাটি। এপ্রিল থেকে গাজায় ২০ হাজারেরও বেশি শিশু মারাত্মক পুষ্টিহীনতায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ১৭ জুলাই থেকে অন্তত ১৬ জন পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশু ক্ষুধার কারণে মারা গেছে। এছাড়া ৩ হাজার শিশুর অবস্থা সংকটজনক। এদিকে ২৫ শতাংশের বেশি গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারী চরম পুষ্টিহীনতায় ভুগছেন, যা আগের মাসের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেড়েছে। গাজা ও পশ্চিম তীরের মোট জনসংখ্যা প্রায় ৫.২ মিলিয়ন। এর মধ্যে তীব্র খাদ্য সংকটে ভুগছেন ১.৪ মিলিয়ন মানুষ। গাজার অসহায় মানুষের জন্য খাদ্যের নিরাপদ ও অবাধ প্রবেশাধিকার ছাড়া মানবিক বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব নয়। হাজার হাজার শিশুর ভবিষ্যৎ আজ অনিশ্চয়তার মুখে।
