রোগ প্রতিরোধ নিয়ে গবেষণা
চিকিৎসায় নোবেল যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের তিন বিজ্ঞানীর
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
চিকিৎসাবিজ্ঞান ও শরীরতত্ত্বে এ বছরের নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করেছে নোবেল কমিটি। তারা হলেন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী মেরি ই ব্রাঙ্কো, ফ্রেড রামসডেল এবং জাপানের শিমন সাকাগুচি। সোমবার সুইডেনের স্টকহোম থেকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট। দেহের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা কেমন করে নিজের অঙ্গপ্রতঙ্গের ক্ষতি না করে জীবাণু থেকে সুরক্ষা দেয়, সেই কৌশল উদ্ঘাটনের স্বীকৃতি হিসাবে তারা এ পুরস্কার পেলেন।
দ্য নোবেল প্রাইজের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স’ সম্পর্কিত আবিষ্কারের জন্য তাদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। মানবদেহে শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা অবশ্যই নিয়ন্ত্রিত থাকতে হয়। তা না হলে এটি অন্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে আক্রমণ করতে পারে। ব্রাঙ্কো, রামসডেল ও সাকাগুচি এক্ষেত্রে যুগান্তকারী আবিষ্কার করেছেন; যা রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে শরীরের ক্ষতি করা থেকে বিরত রাখে।
নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্যবাবদ ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার ভাগ করে নেবেন তারা। বর্তমান বাজারে এর মান প্রায় ১২ লাখ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা। পুরস্কার বিজয়ীরা সুইডেনের রাজার কাছ থেকে সোনার মেডেলও পাবেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, পুরস্কার প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের বিবৃতিতে বলা হয়, আমাদের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, যেন আমরা সব ধরনের জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করতে পারি এবং তার সঙ্গে অটোইমিউন রোগ এড়াতে পারি, এই বছরের পুরস্কার সে সম্পর্কিত। তাদের আবিষ্কার নতুন গবেষণা ক্ষেত্রের ভিত্তি স্থাপন করেছে এবং ক্যানসার ও অটোইমিউন রোগের মতো বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা পদ্ধতির উদ্ভাবনকে ত্বরান্বিত করেছে।
১৯৬১ সালে জন্ম নেওয়া মেরি ই ব্রাঙ্কো যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেছেন বলে নোবেল পুরস্কার কমিটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে। তিনি এখন সিয়াটলের ইনস্টিটিউট ফর সিস্টেমস বায়োলজির ঊর্ধ্বতন প্রকল্প ব্যবস্থাপক।
ফ্রেড রামসডেল জন্মেছেন ১৯৬০ সালে। ২৭ বছর বয়সে লস এঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করা এ নোবেলজয়ী এখন সান ফ্র্যান্সিসকোর সোনোমা বায়োথেরাপিউটিকসের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা।
৭৪ বছর বয়সি সিমন সাকাগুচি জাপানের কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৬ সালে ডক্টর অব মেডিসিন এবং ১৯৮৩ সালে পিএইচডি ডিগ্রি পান। তিনি এখন ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিউনোলজি ফ্রন্টিয়ার রিসার্চ সেন্টারের সম্মানসূচক অধ্যাপক।
চিকিৎসাশাস্ত্রের পুরস্কার ঘোষণার মধ্য দিয়েই এবারের নোবেল পর্ব শুরু হলো। আজ পদার্থবিদ্যা, আগামীকাল রসায়ন, বৃহস্পতিবার সাহিত্য এবং শুক্রবার শান্তিতে পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। সবশেষ ১৩ অক্টোবর অর্থনীতি ক্যাটাগরিতে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করবে নোবেল কমিটি। প্রতিবছর চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল ঘোষণা করে সুইডেনের স্টোকহোমের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট। আর পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নের নোবেল ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স।
