|
ফলো করুন |
|
|---|---|
আল্লাহ তায়ালার যেমন অনেক গুণবাচক নাম রয়েছে, তেমনি রাসুল (সা.)-এরও অনেক গুণবাচক নাম আছে। তবে গবেষকদের মধ্যে মতানৈক্য থাকায় এর নির্দিষ্ট সংখ্যা বলা কঠিন।
জন্মের পর দাদা আব্দুল মুত্তালিব তার প্রিয় নাতির নাম রাখেন মুহাম্মাদ (সা.)।
সততা আমানতদারিতায় তার সমকক্ষ কেউ না থাকায় তৎকালীন মক্কাবাসী রাসুল (সা.)-কে ‘আল-আমিন’ নামে ডাকত।
কুরআনে আল্লাহ তায়ালা রাসুলকে (সা.) বিভিন্ন নামে সম্বোধন করেছেন, যেমন—
* মুযযাম্মিল অর্থাৎ চাদরাবৃত। হে চাদরাবৃত! (সুরা মুযযাম্মিল: ১)।
* মুদ্দাছ্ছির তথা বস্ত্রাবৃত। হে বস্ত্রাবৃত! (সুরা মুদ্দাছ্ছির: ১) এই নাম দুটি আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে রাসুল (সা.) এর প্রতি প্রিয় সম্ভাষণ।
* শাহিদ: সাক্ষ্যদাতা।
* মুবাশশির: সুসংবাদদাতা।
* নাযির: সতর্ককারী। হে নবী! আমি তো আপনাকে পাঠিয়েছি সাক্ষ্যদাতা, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে। (সুরা আহযাব: ৪৫)
রাসুল (সা.) নিজেই বলেন তার অনেকগুলো নাম আছে।
জুবাইর বিন মুতইম (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.) কে বলতে শুনেছি যে, আমার অনেকগুলো নাম আছে। আমি মুহাম্মাদ (এই নাম কুরআনে চারবার উল্লেখ করা হয়েছে)।
আমি আহমাদ। (ইসা (আ.) এই নামেই তার আগমনের সুসংবাদ দিয়েছেন। সুরা আস-সাফ: ৬)
আমি মাহি অর্থাৎ যার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা সমস্ত কুফর দূর করবেন।
আমি হাশির (সমস্ত মানুষকে একত্রিত করার আগে কিয়ামতের দিন আমাকে কবর থেকে উঠানো হবে)।
আমি আকিব (আমিই সর্বশেষ নবী আমার পর আর কেউ নবী হবে না)।(সহিহ বুখারি-৪৮৯৬)
এছাড়াও রাসুল (সা.) এর আরও অনেক নাম আছে। যেমন—
আল-মুক্বাফ্ফি: সর্বশেষ।
নাবিয়ুত তাওবা: তাওবার নবী।
নাবয়ুর রহমাহ: দয়ার নবী। (সহিহ মুসলিম- ৬০০২)
রাসুলুল্লাহ: আল্লাহর রাসুল।
আল-হাদি: পথপ্রদর্শক।
সিরাজুম মুনির: আলো বিস্তারকারী প্রদীপ।
দাঈ-ইলাল্লাহ: আল্লাহর দিকে আহ্বানকারী।
রহমাতুল লিল-আলামিন: সৃষ্টি জগতের জন্য রহমত।
আবুল কাসিম: কাসিমের পিতা। (রাসুল সা. এর বড় ছেলে কাসিমের নমেই তার উপনাম)
আল-ফাতিহ: বিজয়ী।
আল-কাসিম: জ্ঞান বিতরণকারী।

