ব্যাংকিং মুরাবাহা কী, এই পদ্ধতিতে লেনদেন কতটা শুদ্ধ?
নাজমুল ইসলাম
প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:১৮ এএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
তারেক সাহেবের একটি গাড়ি কেনা প্রয়োজন। ১৫ লাখ টাকা হলে তিনি গাড়িটি কিনতে পারেন। কিন্তু একসঙ্গে এতগুলো টাকা তার কাছে নেই। কী করবেন, ভেবে পাচ্ছেন না। একবার ভাবলেন, কনভেনশনাল ব্যাংকে যাই। ঋণ তুলে গাড়িটি কিনি।
যেহেতু ধর্মকর্ম করেন, তাই কনভেনশনাল ব্যাংকে যাওয়ার চিন্তা এলেও, মন বাধা দেয়। সেখানে গেলে ঋণ তো পাওয়া যাবে, কিন্তু পরিশোধের সময় দশ শতাংশ অতিরিক্ত টাকা পরিশোধ করতে হবে। এটি তো সুদ! সুদ নেওয়া ও দেওয়া উভয়টি ইসলামে নিষিদ্ধ!
বিপাকে পড়ে গেলেন তারেক সাহেব। কী করবেন, ভেবে পাচ্ছেন না। বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করলেন। একেকজনের একেক রকম কথা। তিনি দেখলেন, দিনকাল যা যাচ্ছে তাতে কেউ এত টাকা ঋণ দেবে না। ব্যাংক লোন ছাড়া গতি নেই। ব্যাংক লোন যেহেতু তুলতেই হবে, কনভেনশনাল ব্যাংক থেকে না তুলে কোন একটি ইসলামী ব্যাংক থেকে তুলি।
যেই চিন্তা সেই কাজ। তারেক সাহেব নিকটস্থ একটি ইসলামী ব্যাংকে গেলেন। কর্মকর্তার কাছে সরাসরি লোন চাইলেন। কর্মকর্তা বললেন, আমরা আপনাকে লোন দিতে পারব না।
- কেন?
- আমরা ব্যবসা করি। আমাদের লাভের একটি ব্যাপার আছে। লোনের বিপরীতে অতিরিক্ত নেওয়া ইসলামে নিষিদ্ধ। তাই।
- তবে আমার উপায়?
- আচ্ছা, বলুন তো আপনি লোন নিয়ে কী করবেন?
- গাড়ি কিনব, খুবই জরুরি।
কর্মকর্তা বললেন, আপনি এক কাজ করুন। কেমন গাড়ি কিনবেন আমাদেরকে জানান। স্পেসিফিক বিবরণ ও ফিচারস উল্লেখ করুন। আমরা আপনার দেওয়া বিবরণ অনুযায়ী গাড়িটি ক্রয় করে, আপনার কাছে বাকিতে বিক্রি করব। এক্ষেত্রে আমরা ক্রয়মূল্য ও সঙ্গে ১০% প্রফিট যুক্ত করব। আপনি রাজি থাকলে প্রমিজ লেটারে সাক্ষর করুন।
তারেক সাহেব রাজি হলেন। প্রমিজ লেটারে সাক্ষর করে খুশিমনে বাড়ি ফিরে গেলেন। দুই দিন পর, প্রদত্ত বিবরণ অনুযায়ী গাড়ি ক্রয় করে ও কাগজপত্র হাতে পেয়ে ব্যাংক তারেক সাহেবকে ডেকে পাঠালো। তারেক সাহেব এলেন। এরপর ব্যাংক তার সঙ্গে ক্রয়-বিক্রয় চুক্তি করল।
সেখানে উল্লেখ করা হলো, গাড়িটি ক্রয় করতে আমাদের খরচ হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। আমরা আপনার কাছে ১০% লাভ সহ ১৬৫০০০০ টাকায় বিক্রি করছি। আপনি মোট তেত্রিশটি ইনস্টলমেন্টে টাকাগুলো পরিশোধ করবেন। প্রতি ইনস্টলমেন্ট ৫০ হাজার টাকা। কাগজপত্র ও গাড়ি নিয়ে তারেক সাহেব খুশি মনে বাড়ি ফিরে গেলেন।
একজন মুসলিম হিসেবে তারেক সাহেবের এই চুক্তিটি কি ঠিক হলো? তিনি কি সুদে জড়িয়ে গেলেন না?
একবাক্যে বললে, ইসলামিক স্কলারদের মত অনুযায়ী কাজটি সঠিক ও সুদমুক্ত। কিন্তু কীভাবে?
তারেক সাহেব যে চুক্তিটিতে জড়িয়েছেন, ইসলামিক ফিকহে তা “ক্রয় আদেশভিত্তিক মুরাবাহা”। আরবীতে المرابحة للآمر بالشراء ও ইংরেজিতে Murabaha to the Purchase Order নামে পরিচিত। সহজে আমরা একে ব্যাংকিং মুরাবাহা নামে জানি।
ইসলামিক স্কলারদের মতে এটি একটি শরিয়াহসম্মত চুক্তি। এই চুক্তি কীভাবে বৈধ, তা জানার জন্য চুক্তিতে থাকা প্রত্যেকটি বিষয় আলাদাভাবে বোঝা জরুরি।
ব্যাংকিং মুরাবাহায় কী কী চুক্তি থাকে?
ব্যাংকিং মুরাবাহায় কয়েকটি বিষয় জড়িত থাকে। যেমনটি আমরা তারেক সাহেবের চুক্তিতে দেখলাম। প্রথমে তিনি পণ্য ক্রয়ের আগ্রহ দেখালেন ও ক্রয় করবেন বলে ওয়াদা বা প্রমিজ করলেন। তারপর ব্যাংক পণ্যটি ক্রয় করে তার সঙ্গে ‘মুরাবাহা’ চুক্তি করল। মূল্য বাকি ও ইনস্টলমেন্ট বা কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য।
এ মোট তিনটি কার্যক্রম এখানে বিদ্যমান। ব্যাংকিং মুরাবাহা সঠিকভাবে বুঝতে আমাদেরকে এই তিনটি বিষয়ের বৈধতা ও অবৈধতার বিষয়টি জানতে হবে।
ওয়াদা বা প্রমিজ
কোন কিছু ক্রয়ের কিংবা বিক্রয়ের ওয়াদা করার পর তা পূরণ করা নৈতিকভাবে আবশ্যক। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনটি কাজকে মুনাফিকের আলামত আখ্যা দিয়েছেন। তন্মধ্যে একটি হলো, ওয়াদা রক্ষা না করা। (সহিহ বুখারি, হাদিস ৩৩)
কেউ যদি নৈতিকতা উপক্ষো করে ওয়াদা ভঙ্গ করে ও পণ্য ক্রয় না করে, তাকে আইন প্রয়োগ করে ক্রয় করতে বাধ্য করা যাবে কি?
এ নিয়ে ইসলামিক স্কলারদের ভাষ্য হলো, তিনটি শর্তে বাধ্য করা যাবে। এক, ওয়াদা রক্ষা না করলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যাবে মর্মে প্রমিজ লেটারে উল্লেখ করা। দুই, ওয়াদা রক্ষা না করার দায়ে, বিক্রেতার ক্ষতি হওয়া। তিন, সরকারী আইনে ক্রয়-বিক্রয়ের ওয়াদা রক্ষা করা বাধ্যতামূলক থাকা। (ফিকহুল বুয়ূ, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৯১)
মুরাবাহা
মুরাবাহা হলো কোন পণ্য ক্রয়ের পর, খরচ ও সুর্নিদিষ্ট লাভ ক্রেতার কাছে উল্লেখ করে বিক্রি করা।
এটি সাধারণ ক্রয়-বিক্রয়ের মতোই। পার্থক্য এতটুকু যে, সাধারন ক্রয়-বিক্রয়ে ক্রয়মূল্য ও লাভ উল্লেখ করা হয় না। কিন্তু মুরাবাহায় ক্রয়মূল্য ও লাভ উল্লেখ করতে হয়।
যেহেতু এখানে সততা ও স্বচ্ছতার বিষয় জড়িত তাই এই ক্রয়-বিক্রয়কে ‘বাইউল আমানাহ্” বা Trust-based Sale নামেও উল্লেখ করা হয়। বিক্রয়ের সময় দাম ও মুনাফা উল্লেখ করা ইসলামের কোন নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়, তাই এটি সাধারণ ক্রয়-বিক্রয়ের মতোই বৈধ।
আল-কুরআনুল কারিমে ইরশাদ হয়েছে: “আর আল্লাহ ক্রয়-বিক্রয় হালাল করেছেন ও সুদকে করেছেন হারাম।” (আল বাকারা, আয়াত ২৭৫)
বাইয়ে মুয়াজ্জাল
মূল্য বাকি রেখে ক্রয় বিক্রয়কে বলা হয়, বাইয়ে মুয়াজ্জাল। আর মুরাবাহায় মূল্য বাকি রাখলে বলা হয় মুরাবাহা মুয়াজ্জালা। মূল্য নির্ধারিত হয়ে যাওয়ার পর বাকি রাখতে কোন সমস্যা নেই। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরিবারের খাবার ক্রয় করেছিলেন বাকিতে। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস ১২৫৭)
বাকিমূল্য কিস্তিতে পরিশোধ করাও ইসলামে অনুমোদিত। তবে কিস্তি পরিশোধে বিলম্ব হওয়ার কারণে অতিরিক্ত জরিমানা করা ইসলামে অনুমোদিত নয়। তদ্রুপ বাকিতে বিক্রি করা পণ্যের মূল্য বেশি, আর নগদে বিক্রি করা পণ্যের মূল্য কম ধরাও শরিয়তে অনুমোদিত।
তবে শর্ত হলো, ক্রয়ের সময় নির্ধারিত হয়ে যেতে হবে, বাকিমূল্যে ক্রয় করা হচ্ছে, নাকি নগদমূল্যে। যদিও মুরাবাহা বিক্রিতে কিস্তিতে পরিশোধের কারণে মূল্য বাড়ানো হয় না; কারণ, এখানে মূল্য বাড়ানোর বিষয়টি মুরাবাহা চুক্তির ভেতরেই সংঘটিত হয়ে যায়। (বুহুস ফি কাযায়া ফিকহিয়্যা মুআসিরা, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ১২)
আমরা দেখলাম, তিনটি বিষয়ের প্রত্যেকটি ইসলামে অনুমোদিত। তবে যেহেতু ব্যাংকিং মুরাবাহায় লেনদেনের বেশ কয়েকটি প্রক্রিয়া একসঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে, তাই মুরাবাহায় শরিয়াহ লঙ্ঘন হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এজন্য, ব্যাংকিং মুরাবাহা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হলে চুক্তির সময় নিম্নোক্ত বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে।
ব্যাংকিং মুরাবাহা বাস্তবায়নের সঠিক পদ্ধতি
১ম ধাপ
প্রথমে উভয় পক্ষ একটি ওয়াদাপত্রে এ মর্মে স্বাক্ষর করবে যে, ব্যাংক প্রার্থিত পণ্য ভব্যিষ্যতে নির্ধারিত সময়ে বিক্রি করবে। আর গ্রাহক তা যথাসময়ে একটি নির্ধারিত মুনাফায় ক্রয় করবে। ওয়াদা-চুক্তিনামায় উক্ত ক্রয়-বিক্রয় বাস্তবায়নের সর্বশেষ সময়ও নির্ধারণ করা যেতে পারে।
২য় ধাপ
ব্যাংকের পক্ষ থেকে নির্ধারিত তৃতীয় ব্যক্তি ব্যাংকের পক্ষে এজেন্ট হয়ে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে নির্ধারিত পণ্যে ক্রয় করবে ও ব্যাংকের মালিকানায় আনবে। এরপর ব্যাংক গ্রাহককে পণ্য সংগ্রহের ব্যাপারে অবহিত করবে।
এই ধাপটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা পণ্যে পজিশন নিশ্চিত না করে ক্রয়-বিক্রয় করা রিবার অন্তর্ভুক্ত। সাহাবি হযরত হাকিম ইবনে হিযাম রাযি.-কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়াসাল্লাম বলেছেন: তোমার কাছে যা নেই, তুমি তা বিক্রি করো না। (সুনান আবু দাউদ, হাদিস ৩৫০৩)
এজন্য, পজিশন নিশ্চিত না করেই কোন পণ্য মুরাবাহায় বিক্রি করা বৈধ নয়। এমনটি হলে সুদি ব্যাংকের রিস্কবিহীন মুনাফা অর্জন আর ব্যাংকিং মুরাবাহায় কোন পার্থক্য থাকবে না। তাই যেকোন মূল্যে এ ধাপটি যথাযথভাবে নিশ্চিত করা জরুরী। নচেৎ চুক্তিটি শুধু নামে ‘ইসলামী’ ও ‘মুরাবাহা’ হবে; কার্যত হবে সুদি কারবার।
৩য় ধাপ
পণ্য ক্রয়ের জন্য ব্যাংক গ্রাহককে সরাসরি স্পষ্টভাষায় ইজাব (Offer) করবে এবং গ্রাহক কবুল (Accept) করবে। এভাবে ব্যাংকিং মুরাবাহা চুক্তিটি সম্পন্ন হবে। এরপর পণ্যের মালিকানা ও রিস্ক উভয়টি গ্রাহকের দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে।
এই তিনটি ধাপ স্বচ্ছতার সঙ্গে পালন করলে মৌলিকভাবে ব্যাংকিং মুরাবাহা বৈধ হবে।
বাইয়িং এজেন্ট (গ্রাহককে প্রতিনিধি বানানো)
ব্যাংকিং মুরাবাহায় অনেক সময় দেখা যায়, পণ্য ক্রয় করার কাজটি ব্যাংক নিজস্ব এজেন্ট বা প্রতিনিধির মাধ্যমে না করে, গ্রাহককেই প্রতিনিধি বানিয়ে মুরাবাহা চুক্তি সম্পন্ন করে। মুরাবাহা চুক্তিতে গ্রাহককে প্রতিনিধি বানানো সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। কেননা, পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ই মুরাবাহা চুক্তি ও সুদি চুক্তির মাঝে পার্থক্য সৃষ্টিকারী। অপর দিকে গ্রাহককে ব্যাংকের এজেন্ট নিয়োগ করা হলে, ক্রয়-বিক্রয় প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা দেখা দেয়। বিশেষত তিনটি সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
এক. গ্রাহক ব্যাংকের পক্ষের এজেন্ট হিসেবে পণ্য ক্রয় করার পর, ব্যাংকের কাছে পণ্যটি বুঝিয়ে না দিয়ে, নিজেই নিজের কাছে মুরাবাহার মাধ্যমে বিক্রি করে নিতে পারে। ব্যাংকের এজেন্ট হিসেবে বিক্রেতা ও নিজসত্ত্বা হিসেবে ক্রেতা। একই ব্যক্তি বিক্রেতা (যদিও অন্যের প্রতিনিধি হয়ে) ও ক্রেতা হতে পারে না। ইসলামে এটি বৈধ নয়।
দুই. পণ্য ক্রয় না করেই, ব্যাংককে অবগত করতে পারে যে, পণ্য ক্রয় করেছে। অথবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান হতে পারে। ফলে নামেমাত্র পণ্য ক্রয়-বিক্রয় দেখাতে পারে। এমনটি হলে, শরিয়াহসম্মত ক্রয়-বিক্রয়ের উপর ভিত্তি করে মুরাবাহা চুক্তি হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া যায় না। তাই, ব্যাংক গ্রাহকের সঙ্গে এভাবে চুক্তি করে মুরাবাহা করতে পারে না।
তিন. ব্যাংক গ্রাহককে ব্যাংকের এজেন্ট নিয়োগ করার পর পণ্যের সকল রিস্ক গ্রাহকের উপর আরোপ করতে পারে। নিয়ম হলো, গ্রাহক যতক্ষণ ব্যাংকের এজেন্ট থাকবে, ততক্ষণ পণ্যের সকল রিস্ক ব্যাংক বহন করবে। কোন কারণে পণ্য ধ্বংস হলে ব্যাংক দায় বহন করবে; এজেন্ট নয়।
বায়িং এজেন্ট মুরাবাহায় শরিয়াহ ভায়োলোশনের ঝুঁকি থাকার কারণে, ইসলামিক স্কলাররা গ্রাহককে প্রতিনিধি নিযুক্ত করার অনুমোদন সাধারনত দেন না। একান্ত নিরুপায় হলে তারা তিনটি শর্তে গ্রাহককে প্রতিনিধি নিযুক্তের পরামর্শ দেন:
১. পরিস্থিতি এমন যে, গ্রাহক ছাড়া অন্য কাউকে প্রতিনিধি নিযুক্ত করা সম্ভব নয়। যেমন বৈদেশিক লেনদেনের ক্ষেত্রে অনেক সময় এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে। দেশীয় মুরাবাহার ক্ষেত্রে বিনা প্রয়োজনে গ্রাহককে এজেন্ট নিযুক্ত করার কোন অনুমোদন নেই।
২. বাস্তবে ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে, এ মর্মে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ব্যাংকের নামে হতে হবে ও তা সংগ্রহ করতে হবে।
৩. ব্যাংক পণ্যের মূল্য সরাসরি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করবে, গ্রাহককে বা গ্রাহকের একাউন্টে নয়। -অ্যাওফি, শরিয়াহ স্ট্যান্ডার্ড নং-৮, ধারা-৩, উপধারা-১।
লেখক: সহকারি শরিয়াহ এডভাইজার: আইএফএ কনসালটেন্সি, সহকারী মুফতি ও মুশরিফ: আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া বায়তুস সালাম, মিরপুর, পল্লবী, ঢাকা।




