|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মানুষ দোয়ার মাধ্যমে তার দুঃখ-বেদনা,
আশা-প্রত্যাশা ও ভালোবাসা নিবেদন করে একমাত্র আল্লাহর দরবারে। দোয়া হলো মুমিনের শক্তিশালী অস্ত্র, আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক
স্থাপনের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। কুরআনে বলা হয়েছে-‘আর তোমাদের রব বলেছেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে
সাড়া দিব’।
[সূরা গাফির : ৬০]।
নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘দোয়া-ই ইবাদত’ [তিরমিযি : ৩৩৭২]। যে আল্লাহর কাছে কিছু চায় না, আল্লাহ তার ওপর অসন্তুষ্ট হন। তাই দোয়া শুধু প্রার্থনা নয়, এটি ইবাদতের অংশ এবং ইমানের প্রকাশ।
দোয়ার আদব
তাওহিদের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস : দোয়াকারীকে একমাত্র আল্লাহর ওপর নির্ভর করতে হবে। তিনি বলেন ‘আমি আহ্বানকারীর আহ্বানে সাড়া দিই যখন সে আমাকে আহ্বান করে’।
[সূরা বাকারা : ১৮৬]।
ইখলাস : দোয়া যেন একনিষ্ঠভাবে শুধু আল্লাহর উদ্দেশে হয়। [সূরা বাইয়্যেনা : ৫]।
আল্লাহর সুন্দর নামের মাধ্যমে ডাকা : ‘আর আল্লাহরই রয়েছে সুন্দর সুন্দর নাম। সেগুলোর মাধ্যমেই তাকে ডাক’। [সূরা আরাফ : ১৮০]।
প্রশংসা ও দরুদসহ দোয়া : দোয়ার আগে আল্লাহর প্রশংসা ও নবীর ওপর দরুদ পাঠ করা উচিত। [তিরমিযি : ৩৪৭৬]।
কেবলামুখী হয়ে হাত তুলে দোয়া : রাসূল (সা.) বদরের ময়দানে এভাবে দোয়া করেছিলেন।
দৃঢ় বিশ্বাস ও একাগ্রতা : মন থেকে বিশ্বাস রাখতে হবে আল্লাহ দোয়া কবুল করবেন। [তিরমিযি : ৩৪৭৯]।
ধৈর্য ও বারবার চাওয়া : তাড়াহুড়া না করে বারবার দোয়া করতে হবে। [বুখারি : ৬৩৪০]।
বিনয় ও ভয়-আশার সঙ্গে দোয়া : ‘তোমরা বিনীতভাবে ও গোপনে তোমাদের রবকে ডাক’। [সূরা আরাফ : ৫৫]।
হালাল আহার ও পোশাক : হারাম উপার্জনে দোয়া কবুল হয় না। [মুসলিম : ১০১৫]।
ইখলাস, হালাল জীবন, বিনয়, দরুদ ও দৃঢ় বিশ্বাস এ গুণগুলো দোয়াকে করে তোলে কবুলযোগ্য। আল্লাহ বলেন, ‘আমি আহ্বানকারীর আহ্বানে সাড়া দিই যখন সে আমাকে আহ্বান করে’।
[সূরা বাকারা : ১৮৬]।
