Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান

পরিবার নয়, শুধু খালেদা জিয়ার ভিভিআইপি সুবিধা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

পরিবার নয়, শুধু খালেদা জিয়ার ভিভিআইপি সুবিধা

বন, পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক উপদেষ্টা ড. সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি: সংগৃহীত

বন, পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক উপদেষ্টা ড. সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেওয়া রাষ্ট্রীয় অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) হিসাবে সুবিধা কেবল তার জন্যই প্রযোজ্য। এর আওতায় আপাতত তার পরিবারের সদস্যরা নেই। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন সকালে তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক হয়। উল্লেখ্য, সম্প্রতি খালেদা জিয়াকে ভিভিআইপি সুবিধা দিয়েছে সরকার। এর আওতায় তিনি এসএসএফ ও পিজিআর-এর নিরাপত্তা পাচ্ছেন। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা গুঞ্জন দেখা দেয়। অনেকের প্রশ্ন-এ সুবিধা খালেদা জিয়ার পরিবার, বিশেষ করে তার ছেলে তারেক রহমান পাবেন কি না। বিষয়টির খোলাসা হলো উপদেষ্টার এ মন্তব্যের মাধ্যমে। 

সাংবাদিকদের জবাবে কমিশনের কার্যক্রম ব্যাখ্যা করে রিজওয়ানা হাসান বলেন, প্রভাবমুক্তভাবে পুলিশ যাতে কাজ করতে পারে, কমিশন সে ব্যাপারে সরকারের কাছে সুপারিশ করবে। এছাড়া মানবাধিকার সংবেদনশীলতা নিশ্চিত করতে পুলিশের আধুনিকায়ন, প্রশিক্ষণ এবং অন্যসব বিষয় চিহ্নিত করবে কমিশন। 

উপদেষ্টা রিজওয়ানা বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে দুটি সংশোধনী আনা হয়েছে। এছাড়া বৈঠকে আরও কয়েকটি আইন পাশ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-বন ও বৃক্ষ সংরক্ষণ আইন এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা অধ্যাদেশ-২০২৫। তিনি আরও বলেন, প্রাকৃতিক বন কোনোভাবে উন্নয়ন পরিকল্পনায় নেওয়া যাবে না। রিজওয়ানা হাসান বলেন, বাংলাদেশ বিল্ডিং রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে। এর কাজ হবে বিল্ডিংয়ের কোডের যথাযথ প্রতিপালন নিশ্চিত করা। বর্তমানে পুরো দেশ ভূমিকম্পের আশঙ্কায় রয়েছে। তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারী যৌন হয়রানির শিকার হলে তা বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এ সংক্রান্ত একটি অধ্যাদেশের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। 

শফিকুল আলম বলেন, উপদেষ্টা পরিষদ আরও কয়েকটি অধ্যাদেশের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ হাওড় ও জলাভূমি সংরক্ষণ অধ্যাদেশ এবং বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক অধ্যাদেশ-২০২৫-এর নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নতুন অধ্যাদেশে বলা হয়েছে-পাঁচ বছরের বেশি সময় জায়গা দখল করে রাখা যাবে না। অনুমোদনের পাঁচ বছরের বেশি সময় জমি ফেলে রাখলে সরকার তা নিয়ে নেবে। বাণিজ্যিক আদালত অধ্যাদেশ-২০২৫-এর নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। তিনি বলেন, এতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আরও কিছু বিধান যোগ করবে। এরপর আগামী বৈঠকে সেটি অনুমোদন পেতে পারে।


Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম