গৌরবময় মহান মুক্তিযুদ্ধ
জিয়াউর রহমানের ডাক শুনে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন ড. রেদোয়ান
কুমিল্লা ব্যুরো
প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ড. রেদোয়ান আহমেদ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কুমিল্লার চান্দিনার বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ডাক পেয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় রেদোয়ান ছিলেন ১৯ বছরের তরুণ এবং ছাত্র। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ক্র্যাকডাউনের পর ২৬ মার্চ তিনি ঢাকা থেকে চান্দিনায় চলে আসেন। পরে রেডিওতে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা শুনে মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত হন।
ড. রেদোয়ান ১৯৫৪ সালে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার ছাতাড্ডা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকার জগন্নাথ কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণায় তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। স্বাধীনতা-পরবর্তী দেশ গঠন, ইতিবাচক রাজনীতি, এলাকার উন্নয়ন ও শিক্ষায় ব্যাপক অবদান রেখেছেন এ বীর মুক্তিযোদ্ধা।
রেদোয়ান চান্দিনা থেকে ১৯৮৬ সালে প্রথম সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ১৯৯১-১৯৯৬ এবং ২০০১ সালে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় মন্ত্রিসভায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ সালে বিএনপি ছেড়ে তিনি লিবারেল ডেমোক্রেটিক (এলডিপি) পার্টিতে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি দলটির মহাসচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ড. রেদোয়ান আহমেদ বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ঘোষণা শুনে আমি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ি। ঢাকা থেকে গ্রামে এসে এলাকার লোকজনকে সংগঠিত করি। পরে কয়েকজন বন্ধু মিলে ভারতে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। আমার বন্ধু আবুল কাশেম, ছিদ্দিকুর রহমান, আবুল হাশেম, শহিদুল ইসলামসহ আমরা সাতজন ভারতের মতিনগর ক্যাম্পে যাই। সেখানে পালাটানা ক্যাম্পে মেজর হায়দারের সঙ্গে যোগ দেই। ওই ক্যাম্পে সপ্তাহ ১০ দিনে হ্যান্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ প্রশিক্ষণ নিয়ে উদয়পুর গেলাম। সেখানে ১২১ জন শিক্ষার্থীর একটি দলের প্রতিনিধিত্ব করেছি। ক্যাপ্টেন সুজাত আলী আমাদের উচ্চতর প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য মেঘালয়ে পাঠান। সেখানে প্রশিক্ষণ শেষে কর্নেল অলি আহমেদ বীর বিক্রমের নির্দেশে আমরা তিনটি ভাগে বিভক্ত হয়ে সিলেট সেক্টরে যুদ্ধ করি। ১৪ ডিসেম্বর সিলেট স্বাধীন হয়।
