Logo
Logo
×

জাতীয়

প্রাথমিকের শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড নিয়ে যা বললেন উপদেষ্টা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:২২ পিএম

প্রাথমিকের শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড নিয়ে যা বললেন উপদেষ্টা

উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। ফাইল ছবি

প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন ও ১১তম গ্রেড নিয়ে উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, বেতন কমিশন রয়েছে, তারা এটি নির্ধারণ করবে। আমরা আমাদের অবস্থানগুলো সেখানে পৌঁছে দিয়েছি। সিদ্ধান্তের সঙ্গে জড়িত সবার সঙ্গে কথা বলেছি, যেন এটি কার্যকর করা হয়। আশা করতে পারি, এটি বাস্তবায়ন হবে।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে ময়মনসিংহের জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) কার্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ইন্সট্রাক্টর ও নেপের সহকারী বিশেষজ্ঞদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

বিধান রঞ্জন রায় বলেন, পরীক্ষা রেখে আন্দোলন করাটা যুক্তিযুক্ত হয়নি। আমরা তাদের দাবিকে অযৌক্তিক বলছি না। আমরা এটি কার্যকর করার চেষ্টা করছিলাম। তবে শিক্ষকরা পরবর্তীতে বিষয়টি বুঝতে পেরে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন। আন্দোলনের কারণে বাচ্চাদের মন খারাপ হয়েছে। কিন্তু এটি পুষিয়ে যাবে, কারণ আমরা তো আবার পরীক্ষাটা নিচ্ছি।

নতুন বই প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিকে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য প্রায় সব বই জেলা পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। আগামী ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। ইতিমধ্যে সব বই আমরা হাতে পেয়ে গেছি।

প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শিক্ষক হওয়ার আগেই কোর্সটি চালু করা হয়েছে, যা জানুয়ারি থেকে শুরু হবে। আমাদের দেশে আগে এ বিষয়টি ছিল না। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, যারা শিক্ষার ব্যাপারে আগ্রহী এবং শিক্ষক হতে চান, তারা ‘ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড)’ কোর্সটি করবেন। এতে তারা পেশাগত ক্ষেত্রে ভালো করবেন এবং আমরা কিছু নিবেদিতপ্রাণ মানুষ পাব, যারা শিক্ষাকে পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। ফলে শিক্ষকতার ক্ষেত্রে তারা ভালো করবেন এবং সামগ্রিকভাবে শিক্ষা খাতে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে।

শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের মতো আয়ের দেশ হোক বা আমাদের চেয়ে বেশি আয়ের দেশ, যে দেশই শিক্ষায় ভালো করছে, সেখানে প্রাথমিক শিক্ষক হওয়ার জন্য প্রাক-যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। বিশেষ প্রশিক্ষণ ও জ্ঞানের দরকার হয়। অনেক দেশ রয়েছে যেখানে শিক্ষক হওয়ার আগে লাইসেন্স নিতে হয়। যেমন: চিকিৎসকদের এমবিবিএস পাশের পর বিএমডিসি থেকে লাইসেন্স নিতে হয়, অন্যথায় তারা প্র্যাকটিস করতে পারেন না। শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও অনেক দেশে এ নিয়ম চালু রয়েছে। আমাদের দেশেও অদূর ভবিষ্যতে সেটি চালুর পরিকল্পনা করছি।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নেপের মহাপরিচালক ফরিদ আহমদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ফারাহ শাম্মী।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম