৩৬৩ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতি
এস আলম ও নাবিল গ্রুপের মালিকসহ আসামি ৪৩
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪৯ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ইসলামী ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে কাগুজে প্রতিষ্ঠান ‘নাবা এগ্রো ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল’র অনুকূলে নেওয়া ঋণের ৩৬৩ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগে আলোচিত এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল ইসলাম (এস আলম) ও নাবিল গ্রুপের মালিক আমিনুল ইসলাম স্বপনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলায় ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যানসহ মোট ৪৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। বুধবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি করা হয়। দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- সোনালী ট্রেডার্সের পরিচালক শহিদুল আলম, সেঞ্চুরি ফ্লাওয়ার মিলসের এমডি মো. আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, একই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মো. হাছানুজ্জামান, নাবা এগ্রো ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুন অর রশিদ ও একই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ।
ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তারা হলেন-ব্যাংকটির এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (সাবেক ডিএমডি) মিফতাহ উদ্দিন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আইসি কমিটির সদস্য মুহাম্মদ কায়সার আলী, এফএভিপি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, এভিপি ও ইনভেস্টমেন্ট ইনচার্জ (গুলশান শাখা) মো. আকির হোসেন মিজি, ইডিপি ও শাখা ব্যবস্থাপক এটিএম শহিদুল হক, আইসি কমিটির সদস্য সৈয়দ আবু আসাদ, ডিএমডি ও আইসি কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, সিইও ও ইনভেস্টমেন্ট কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সালেহ জহর, ডিএমডি ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুলাহ।
আসামি তালিকায় আরও আছেন-ইসলামী ব্যাংক বোর্ড অব ডিরেক্টরসের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. নাজমুল হাসান, নির্বাহী কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. সেলিম উদ্দিন, নির্বাহী কমিটির সদস্য তানভীর আহম্মদ, প্রফেসর ড. মো. সামিউল আলম, সদস্য ও সাবেক এমডি মোহাম্মদ মুনিরুল হক, এসইভিপি মো. আলতাফ হোসাইন, জি এম মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন কাদের ও পরিচালক আব্দুল্লাহ আল-রাজি।
এজাহারে বলা হয়েছে, ইসলামী ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে নাম সর্বস্ব নাবা এগ্রো ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামের প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ঋণের প্রস্তাবনা সুপারিশ ও অনুমোদন করেন আসমিরা। পরস্পর যোগসাজসে তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে জালিয়াতির মাধ্যমে রেকর্ডপত্র তৈরি করে অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন।
যেখানে ব্যাংক কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় নবগঠিত প্রতিষ্ঠানটির অনুক‚লে ৬৭০ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা মঞ্জুর হয়েছে। এরমধ্যে ৩৬৩ কোটি টাকা বিতরণ দেখিয়ে আÍসাৎ করা হয়েছে।
