‘ছাত্রলীগ নেতার চকচকে আইফোন ডিবির পকেটে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের রমনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত ডিসি (অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার) ইলিয়াস কবিরকে। 

মঙ্গলবার ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। 

এর আগে মঙ্গলবার যুগান্তরের শেষের পাতায় ডিবির মোবাইল আত্মসাতের কাণ্ড নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর দেশ জুরে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এর প্রেক্ষিতে তাকে ডিবি থেকে সরানো হলো। ডিবি থেকে সরিয়ে ডিএমপি সদর দপ্তরের আইসিটি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত ডিসি করা হয়েছে। 

তবে এ ঘটনায় আরেক অভিযুক্ত ডিবি রমনা বিভাগের ইন্সপেক্টর মো. আখতার মোর্শেদের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাত ৯টা পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

ডিবির দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর ডিবি রমনার ডিসিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইন্সপেক্টরের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। 

আরও পড়ুন

আরও পড়ুন

ছাত্রলীগ নেতার চকচকে আইফোন ডিবির পকেটে

উল্লে­খ্য, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সাবেক নেতা শেখ ইবনে সাবিতকে সন্ত্রাস বিরোধী আইনের এক মামলায় গত ৬ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এসময় তার কাছে ছিল প্রায় দুই লাখ টাকা দামের নতুন আইফোন ১৬ প্রো-ম্যাক্স। গ্রেফতারের মাত্র তিনদিন আগে ওই ছাত্র নেতার কেনা চকচকে আইফোনটি নিজের পকেটে রেখে দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মো. আখতার মোর্শেদ। 

এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের আগে ভারপ্রাপ্ত উপ কমিশনার (ডিসি) মো. ইলিয়াস কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইন্সপেক্টর মো. আখতার মোর্শেদের পক্ষে সাফাই গান। এমনকি ইন্সপেক্টর গুরুতর আইন লঙ্ঘন করার পর কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে রক্ষায় সিনিয়র কর্মকর্তাদের দারস্থ হন। 

এছাড়া ফোন আত্মসাতের বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রেফতার ইবনে সাবিতের পরিবারকে নানা হুমকি ধমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। ডিবির একটি টিম গত রোববার রাতে সাবিতের গ্রেফতার স্থল নিউমার্কেট থানাধীন হোম কেয়ার হাসপাতালের দুই কর্মচারীর থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে আসে। পুরো পরিবার আতঙ্কে দিন পার করছে।