Logo
Logo
×

জাতীয়

রুহুল আমিন গাজী ছিলেন ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের অগ্রনায়ক: আবদুল হাই শিকদার

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৫০ পিএম

রুহুল আমিন গাজী ছিলেন ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের অগ্রনায়ক: আবদুল হাই শিকদার

রুহুল আমিন গাজীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন যুগান্তর সম্পাদক কবি আবদুল হাই শিকদার। ছবি: যুগান্তর

যুগান্তর সম্পাদক কবি আবদুল হাই শিকদার বলেছেন, ফ্যাসিবাদী শাসনামলে সাংবাদিক সমাজের বিরাট একটা অংশ দালালি, পদলেহন ও পদচুম্বন সাংবাদিকতায় পর্যুদস্তু হয়ে গিয়েছিল। তবে আরেকটা অংশ চেয়েছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে। এই লড়াই যারা করছেন, তাদের অগ্রনায়ক ছিলেন রুহুল আমিন গাজী। 

বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন আলোচনা সভার আয়োজন করে।

আবদুল হাই শিকদার বলেন, ‘আমাদের সাংবাদিক ইউনিয়নে গাজীর মতো সাহসী নেতা আগের জামানায় দু-একজনকে দেখেছি। কিন্তু এই পর্বে তার মতো সাহসী মানুষ আসলে দেখিনি। আমরা সাংবাদিকতার ইতিহাস যখন লিখব, সাংবাদিকদের শৌর্য-বীর্য নিয়ে কথা বলব, তাদের অহংকার নিয়ে কথা বলব তখন নিশ্চয়ই রুহুল আমিন গাজীর নামটা উজ্জ্বলভাবে প্রতিভাত হবে। সাংবাদিকদের নেতৃত্ব দেওয়ার যে ট্র্যাডিশনাল লাইন, তার শেষ প্রান্তের প্রতিনিধি ছিলেন তিনি।’ 

তিনি বলেন, ‘রুহুল আমিন গাজী আমাদের ঐক্যের প্রতীক ছিলেন। তাকে কেন্দ্র করে আমরা আবর্তিত হয়েছি। ভালো-মন্দ মিশিয়ে আমাদের সাংবাদিক ইউনিয়নের দুপক্ষের যে সাংবাদিকরা ছিলেন, তাদের একটা বিরাট অংশ তাকে সম্মান করতেন। আমি হলফ করে বলতে পারি, ট্রেড ইউনিয়ন বোঝার যে দক্ষতা-ক্ষমতা রুহুল আমিন গাজীর ছিল, তা আমার জীবদ্দশায় আর কারও মধ্যে দেখিনি।’ 

যুগান্তর সম্পাদক বলেন, ‘আজকে রুহুল আমিন গাজীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী সামনে রেখে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার একটা সুযোগ আছে। এটা করতে পারলে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হবে। আজকে এই লড়াকু সেনাপতির মৃত্যুবার্ষিকীকে সামনে রেখে আমরা প্রত্যাশা করি, আমাদের সাংবাদিক সমাজের জীবনে যেন বর্তমানের মতো অভিশপ্ত সময় আর না আসে। আমরা যেন আমাদের আদর্শ থেকে, আমাদের লক্ষ্য থেকে কখনো বিচ্যুত না হই। কোনো প্রত্যাশার কাছে, কোনো হুমকির কাছে, আধিপত্যবাদ-সাম্রাজ্যবাদের কাছে যেন আত্মসমর্পণ না করি।’

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি কবি হাসান হাফিজ বলেন, ‘সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন ভাবে কাজ করে গেছেন। এটা সবার কাছে অনুসরণীয়। তার মতো নেতা বর্তমানে খুঁজে পাই না।’

বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ‘সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলার সাহস রুহুল আমিন গাজীর মধ্যে ছিল। যে কারণে তাকে দীর্ঘদিন কারাবরণ করতে হয়েছে। তিনি ছিলেন সাংবাদিক অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে সামনের কাতারের নেতা।’ 

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘রুহুল আমিন গাজী ভাইকে হত্যা করা হয়েছে পরিকল্পিত ভাবে। তাকে চিকিৎসা না দিয়ে গ্রেফতার করে দীর্ঘদিন কারাগারে আটক রাখা হয়েছিল।’ 

ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলমের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন, রুহুল আমিন গাজীর একমাত্র ছেলে আফফান আবরার ইবনে আমিন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাকের হোসাইন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ডিইউজের সাবেক সভাপতি সরদার ফরিদ আহমেদ, বিএফইউজের সহসভাপতি খাইরুল বাশার ও এটিএম মহসিন, বিএফইউজের দপ্তর সম্পাদক আবু বকর, ডিইউজের সহসভাপতি রফিক মোহাম্মদ, যুগ্ম সম্পাদক দিদারুল আলম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি আবু সালেহ আকন, সাবেক সভাপতি মোরসালিন নোমানী, ইলিয়াস হোসেন, ঢাকা মেইলের নির্বাহী সম্পাদক হারুন জামিল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য শাহনাজ পলি, উইমেন জার্নালিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক লাবিন রহমান প্রমুখ। 

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম