এস আলমের বাঁশখালি প্ল্যান্টে ড্রেজিং বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ প্রশ্নে রুল
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:২৮ পিএম
ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাঁশখালি বড়ঘোনার এস আলম পাওয়ার প্ল্যান্টের ড্রেজিং বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ প্রহণ প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বালুমহাল আইন-২০১০ এর, বিধি-৫ লঙন কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। রুলে কেন অবৈধভাবে এই বালু উত্তোলনের কাজ বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হবে না তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। এছাড়া এস আলম গ্রুপের গন্ডামারা ড্রেজিং ইকোনোমিক জোন-১ ও ২ তৈরি করে সমুদ্রের ব্রেক ওয়াটার অপসারণ করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
বুধবার এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। গত ৯ সেপ্টেম্বর রিটটি দায়ের করেন গন্ডামারা বরগুনা বহুমুখী সমবায় সমিতির সহকারী সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ সাইফুল আলম, এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, চট্টগ্রামের বাঁশখালি উপজেলা সহকারি ভূমি অফিসারসহ মোট ১৪ জনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মাদ ফারুক হোসেন। তিনি আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
জানা যায়, এলাকাটি দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় জেলেদের কর্মব্যস্ততার প্রাণকেন্দ্র। প্রায় সময় এ জেটিঘাট থেকে তিন হাজারেরও বেশি জেলে নৌকা ও সাম্পান নিয়ে গভীর সাগরে মাছ আহরণে যান এবং জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। কিন্তু সম্প্রতি এস আলম গ্রুপের কয়লাবাহী লাইটার জাহাজ ভিড়ানোকে কেন্দ্র করে এ জেটিঘাটে জেলেদের জীবিকা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জাহাজের ধাক্কায় বসানো জাল ছিঁড়ে যাওয়া, রাতের আঁধারে সাম্পানে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা ঘটার মতো ঘটনাও নিত্যদিনের হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি নৌকা ডুবিয়ে দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগও তুলেছেন স্থানীয় জেলেরা।
এমন প্রেক্ষাপটে গত ১ সেপ্টেম্বর গন্ডামারা পশ্চিম বড়ঘোনা জেটিঘাট এলাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন ক্ষতিগ্রস্ত জেলেরা। তারা অবিলম্বে নৌকা ও সাম্পান নিরাপদে জেটিতে ভিড়ার নিশ্চয়তা প্রদান এবং স্থানীয়দের জন্য এস আলম গ্রুপে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার দাবি জানান তারা।

