ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ঢাকা কলেজে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও শিক্ষার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদে সারাদেশের সকল সরকারি কলেজে কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষকরা। একইসঙ্গে কালো ব্যাজ ধারণ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের এই কর্মকর্তারা। বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।
এ কর্মবিরতির কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সব সরকারি-বেসরকারি কলেজের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এসময় শিক্ষকরা ঢাকা কলেজের শিক্ষক ও উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনাসহ ১০ দফা দাবি উত্থাপন করেন।
শিক্ষকদের এই কর্মসূচির কারণে এদিন কোনো ক্লাস হয়নি। ঢাকা কলেজে দেখা গেছে, শিক্ষকেরা বিভাগ থেকে বের হয়ে কলেজের শহীদ মিনারের সামনেও অবস্থান করেন। এতে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম ইলিয়াস হোসেনও অংশ নেন। এদিন ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষকরা প্রতিবাদ জানাতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এসময় কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শামছুন নাহার অংশ নেন। তিনি বলেন, শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। শিক্ষকদের মর্যাদা রক্ষায় কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এদিন ঢাকার সাতটি কলেজ একীভূত করে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি করা নিয়ে পালটাপালটি কর্মসূচি ঘিরে ছাত্রকে মারধর ও শিক্ষককে হেনস্তার প্রতিবাদে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব মোড়ে ‘ব্লকেড কর্মসূচি’ পালন করেছেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। এতে বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রীরাও সংহতি জানান।
অন্যদিকে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে আন্দোলনকারী বেশ কিছুসংখ্যক ছাত্র ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছেন।
বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল এবং সদস্য সচিব ড. মো. মাসুদ রানা খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার রাতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের ওপর দুষ্কৃতকারীদের হামলা এবং টিচার্স লাউঞ্জে ভাঙচুরের ঘটনায় সংগঠনটি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। একই সঙ্গে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ঢাকাসহ দেশের সব সরকারি কলেজের শিক্ষকরা আজ সর্বাত্মকভাবে কর্মবিরতি পালন করবেন। এ কর্মসূচি সফল করতে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সব কর্মকর্তাকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
সংগঠনটির নেতারা বলেন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এমন ঘটনা শিক্ষাঙ্গনে ভয় ও অস্থিরতা সৃষ্টি করে, যা রাষ্ট্রীয় শিক্ষাব্যবস্থার জন্য হুমকিস্বরূপ।
এর আগে সোমবার সকালে ঢাকা কলেজ প্রাঙ্গণে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন-২০২৫’ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের পদযাত্রার সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।
এসময় এক শিক্ষার্থী শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে ‘দালাল’ মন্তব্য করলে শিক্ষকরা তাকে কমনরুমে আটক করে রাখেন। পরে তার সহপাঠীরা প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে তাকে ছাড়িয়ে আনেন। এ ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়।


