অংশীজনদের লিখিত মতামত চেয়েছে মন্ত্রণালয়
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ২ আইনের খসড়া
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:২৬ এএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
‘স্বাস্থ্যসেবা কর্মী ও প্রতিষ্ঠান সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’ এবং ‘রোগী সুরক্ষা ও প্রতিকার অধ্যাদেশ ২০২৫’ নামে দুটি নতুন আইন প্রস্তাব করেছে সরকার। আইন দুটি স্বাস্থ্যসেবা কর্মী ও প্রতিষ্ঠান এবং রোগীদের সুরক্ষা দেবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
রোববার এই দুটি আইনের খসড়া সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার জন্য উপস্থাপন করা হয়। সেখানে অংশীজনদের কাছে লিখিত মতামত চাওয়া হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সাইদুর রহমান যুগান্তরকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, অধ্যাদেশ দুটির খসড় নিয়ে (রোববার) সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে আলোচনা হয়। স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) প্রধানসহ স্টেক হোল্ডারদের ছিলেন।
এ ছাড়াও চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্টসহ হেলথ ওয়ার্কারদের মধ্যে যতগুলো সংগঠন আছে প্রায় সবগুলোর প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। তাদের সঙ্গে কিছু আলোচনা হয়েছে। সবার কাছে লিখিত মতামত চাওয়া হয়েছে। সেগুলো পাওয়ার সংযোজন-বিয়োজন করে পুনরায় খসড়া করা হবে। এরপর আবারও খসড়া নিয়ে আলোচনার জন্য সবাইকে নিয়ে বসবো।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশব্যাপী চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ এবং স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলার ঘটনা বাড়ছে। এমন প্রেক্ষাপটে অন্তবর্তী সরকারের স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী এই দুটি খসড়া আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যসেবা কর্মী ও প্রতিষ্ঠান সুরক্ষা অধ্যাদেশ আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, যদি কেউ পরিকল্পিতভাবে বা অন্যদের সঙ্গে মিলিত হয়ে চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীর ওপর হামলা বা সহিংসতা চালায়, কিংবা স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করে, তাহলে তার সর্বোচ্চ ১০ বছরের জেল বা ১৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।
আরও বলা হয়েছে, যদি এই ধরনের হামলায় কোনো স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হয়, তাহলে সেই ব্যক্তি হত্যার জন্য ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি বা যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দণ্ডিত হবে।
অন্যদিকে, যদি কোনো স্বাস্থ্যকর্মী বা চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে বা চরম অবহেলার কারণে এমন কোনো কাজ করেন, যার ফলে রোগীর মারাত্মক ক্ষতি হয় বা মৃত্যু ঘটে, তাহলে সেটি একটি ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
এর শাস্তি হতে পারে সর্বোচ্চ ৭ বছর কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ৭ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড। সাধারণ অবহেলার কারণে কোনো ক্ষতি হলে তা ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না। এ ধরনের বিষয় দেওয়ানি প্রতিকার বা পেশাগত শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে।

