Logo
Logo
×

জাতীয়

পরোক্ষ ধূমপানে অসুস্থ ৬১ হাজার শিশু

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:১৬ এএম

পরোক্ষ ধূমপানে অসুস্থ ৬১ হাজার শিশু

ছবি: সংগৃহীত

দেশে ১৫ বছরের নিচে ৬১ হাজারেরও বেশি শিশু পরোক্ষ ধূমপানের কারণে বিভিন্ন রোগে ভুগছে। এই তথ্য তুলে ধরে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত ও কঠোরভাবে সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন তরুণ চিকিৎসকরা। তাদের মতে, জনসমাগমস্থল ও পরিবহণ থেকে ধূমপানের নির্ধারিত স্থান তুলে না দিলে শিশু ও তরুণ প্রজন্মকে তামাকের মারাত্মক প্রভাব থেকে রক্ষা করা সম্ভব নয়। চিকিৎসকদের অভিমত, শিশুদের ধোঁয়ার মধ্যে বড় হতে দেওয়া মানে একটি জাতির ভবিষ্যৎকে বিষাক্ত করা। তামাকের বিরুদ্ধে কঠোর আইন বাস্তবায়নে রাষ্ট্রকে সাহসী পদক্ষেপ নিতে হবে।

বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের আয়োজনে ‘অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও তরুণদের সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা : তরুণ চিকিৎসকদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে চিকিৎসকরা এই আহ্বান জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, ‘তামাক এমন এক নীরব ঘাতক, যা প্রতিদিন শত শত প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। শুধু ধূমপায়ী নয়, আশপাশের নিরীহ মানুষও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই বিপদ ঠেকাতে আইনকে শক্ত করতে হবে।’

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘দেশে ১৫ বছরের নিচে ৬১ হাজারেরও বেশি শিশু পরোক্ষ ধূমপানের কারণে নানা রোগে আক্রান্ত। তাই পাবলিক স্থানে ধূমপানের নির্ধারিত স্থান পুরোপুরি তুলে দেওয়া এখন সময়ের দাবি। তামাক কোম্পানির তথাকথিত সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচিও বন্ধ করতে হবে, যা তরুণদের ধূমপানে প্রলুব্ধ করে।’

মূল প্রবন্ধে প্ল্যাটফর্ম ডক্টরস ফাউন্ডেশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক ডা. ফারজানা রহমান মুনমুন বলেন, ‘গ্লোবাল ইয়ুথ টোব্যাকো সার্ভে অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সি ছেলেদের ৯ দশমিক ২ শতাংশ এবং মেয়েদের ২ দশমিক ৮ শতাংশ ধূমপান করে। বেশির ভাগ কিশোর-কিশোরী ঘরে বা পাবলিক স্থানে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়। তামাক কোম্পানিগুলো ডিজিটাল মাধ্যমে তরুণদের লক্ষ্য করে আগ্রাসী বিপণন চালাচ্ছে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নেশার চক্রে ফাঁসিয়ে দিচ্ছে। তাই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের বিকল্প নেই।’

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী বলেন, ‘তামাকজনিত রোগে প্রতিবছর দেশে এক লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যায়। এই মৃত্যুর মিছিল থামাতে হলে দ্রুত আইনি সংস্কার জরুরি। তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ রক্ষাই এখন রাষ্ট্রের দায়িত্ব।’

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম