Logo
Logo
×

জাতীয়

পাবিপ্রবি প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠান

সমাজের দর্পণ সংবাদপত্রকে ভয় পায় শাসকরা: আবদুল হাই শিকদার

Icon

পাবনা ও পাবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৫৮ পিএম

সমাজের দর্পণ সংবাদপত্রকে ভয় পায় শাসকরা: আবদুল হাই শিকদার

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) প্রেস ক্লাবের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান আলোচক দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক কবি আবদুল হাই শিকদার। ছবি: যুগান্তর

দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক কবি আবদুল হাই শিকদার বলেছেন, গণমাধ্যম হলো জনগণের স্কুল এবং সংবাদপত্র হলো সমাজের দর্পণ বা আয়না। কিন্তু আমাদের শাসকরা এ আয়না দেখে ভয় পায়। মঙ্গলবার পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) প্রেস ক্লাবের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসাবে তিনি এ কথা বলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আবদুল আওয়াল, বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান। পাবিপ্রবি প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ আলোচক ছিলেন যুগান্তরের সহসম্পাদক এমদাদুল হক এবং ইত্তেফাকের রাজনীতি ও নির্বাচনবিষয়ক সম্পাদক সাইদুর রহমান। অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন পাবনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার।

সেমিনারে কবি আবদুল হাই শিকদার আরও বলেন, সংবাদপত্র মানুষের চিন্তাকে সংযোগ (কানেক্ট) ঘটায়। একটি রাষ্ট্রের তিনটি স্তম্ভ- আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগ। আর রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হলো সংবাদপত্র। তিনি বলেন, সাংবাদিককে সাদাকে সাদা ও কালোকে কালো বলা জানতে হবে। সব বিষয়ে জ্ঞান ছাড়া ভালো সাংবাদিক হওয়া সম্ভব না। কারণ তাকে সব বিটে কাজ করতে হয়।

আবদুল হাই শিকদার বলেন, ১৭ বছরে মিডিয়াতে একটি তোষামোদকারী শ্রেণি তৈরি করা হয়েছিল। মিডিয়া ছিল ব্রিটিশ আমলের মতো স্তাবকতাপূর্ণ। সে সময় বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার কারণে অনেক সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। মিডিয়া ছিল সেলফ সেন্সরড। গণ-অভ্যুত্থানের পর গণমাধ্যম আবার মানুষের মধ্যে বিশ্বাস ও আস্থার জায়গা তৈরি করে নিচ্ছে। আগের চেয়ে বেশি স্বাধীনভাবে সাংবাদিকরা কাজ করতে পারছেন। তবে পুরোপুরি স্বাধীন নয়। এজন্য আমরাই দায়ি। তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা দেশকে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে পারব। 

পাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল আওয়াল বলেন, নলেজ ইজ পাওয়ার। যার যত বেশি নলেজ (জ্ঞান) থাকবে, সে তত বেশি আলোকিত হবে। আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও আÍমর্যাদার ক্ষেত্রে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, একটি জাতিকে ধ্বংস করার জন্য অন্যতম মোক্ষম মাধ্যম হলো শিক্ষা। গত ১৭ বছরে শিক্ষাকে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের ভালো চিন্তা থাকতে হবে এবং দায়িত্ব নিতে হবে। তাহলে দেশ ভালোভাবে পরিচালিত হবে। আমরা আগের বাংলাদেশ আর দেখতে চাই না; একটি সুন্দর বাংলাদেশ দেখতে চাই। তিনি বলেন, সৎ মানুষ আয়না দেখতে ভয় পায় না।

পাবিপ্রবি প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে প্রকাশিত ‘বিপ্লবের দিনলিপি’ স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা শিথিল।

বিকালে পাবিপ্রবি’র বাংলা বিভাগ আয়োজিত ‘নজরুল বক্তৃতা’য় প্রধান আলোচক হিসাবে যুগান্তর সম্পাদক কবি আবদুল হাই শিকাদার ‘কবি নজরুলের জীবন-দর্শন ও তাৎপর্য’ নিয়ে দীর্ঘ বক্তব্য দেন। বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মীর হুমায়ন কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপাচার্য প্রফেসর ড. এসএম আবদুল আওয়াল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পাবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান, পাবনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম