কুইক রেসপন্স টিমের মাধ্যমে নারী ও শিশুদের পাশে থাকতে চাই: শারমীন এস মুরশিদ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৩৬ পিএম
ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, নারী ও শিশু নির্যাতন মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে কুইক রেসপন্স টিমের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মদেরকে সাথে নিয়ে প্রান্তিক পর্যায়ে পর্যন্ত নারী ও শিশুদের পাশে থাকতে চাই।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, চব্বিশ ঘটে গেছে, বাংলাদেশ কখনো আর আগের জায়গায় ফিরে যাবে না। চব্বিশের জুলাই যুদ্ধে এতগুলো শিশু প্রাণ দিল, তাদের যে আত্মত্যাগ তাদের কথা স্মরণ করে দুর্নীতি কাজের অসচেতনতা ভেবে ন্যায়ের পক্ষে সচেষ্ট হতে হবে।
তিনি বলেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে প্রায় ৭০ ভাগ মেয়েরা ছেলেদের পাশে থেকে যুদ্ধ করেছে । এই অভ্যুত্থানের মধ্যে অনেক মেয়ের অঙ্গহানি হয়েছে, বঞ্চিত হয়েছে। অনেক মেয়ে সামাজিক লাজ-লজ্জার ভয়ে আড়াল হয়ে গেছে। এ সমস্ত মেয়েদেরকে আলোর পথে আনতে চাই। এজন্য আমার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জুলাইয়ের আত্মত্যাগকে ধারণ করে যার যার জায়গা থেকে কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় না দিয়ে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় নব যোগদানকৃত মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জিনাত আরা, পরিচালক (যুগ্ম সচিব) নাইমা হোসেন, জাতীয় প্রকল্প পরিচালক (গ্রীন ক্লাইমেন্ট কান্ড) অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল হাই আল মাহমুদ, অতিরিক্ত পরিচালক মো. মনির হোসেন, উপপরিচালক, গবেষণা কর্মকর্তা, সহকারী পরিচালকসহ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা বলেন, সরকারি কর্মচারীরা জনগণের সেবক। আপনাদের কাজের মান, গতি, কাজের ক্ষণ দেখে আমি অসন্তুষ্ট। রাষ্ট্রের একটি সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ কাজ এই মন্ত্রণালয়ের। নারীদের নিয়ে কাজগুলোকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে যার যার কাজে আরো আন্তরিক হতে হবে।
উপদেষ্টা মহাপরিচালককে দাপ্তরিক কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য কর্মচারীদের রুলস অফ বিজনেসে কর্মচারী আইন বিধিমালার আওতায় তিন বছরের অধিক চাকুরিকাল হলে নিয়ম অনুযায়ী বদলির পরামর্শ দেন এবং দক্ষদের কাজে লাগাতে বলেন। কোনো কর্মচারী ১০ বছর লাগিয়ে যেন শিকড় গাড়তে না পারে এ নির্দেশনাও দেন।
উপদেষ্টা কর্মচারীদের নিয়মিত উপস্থিতি, প্রশিক্ষণ, পোশাক পরিচ্ছদের ব্যবস্থা এবং প্লাস্টিক বর্জন করে প্রাকৃতিক পরিবেশ গড়ে তুলতে পরামর্শ দেন।
