নিউইয়র্কের চিঠি
ট্রাম্পের কাছে মামদানি কী পেলেন এবং কী ছাড় দিলেন
আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু
প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নিউইয়র্ক সিটি জনসংখ্যা, আকার ও কর্মযজ্ঞের দিক থেকে যেমন বৃহৎ, এ নগরীর বাজেটও তেমন বৃহৎ। বাংলাদেশের বাজেটের প্রায় দ্বিগুণ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের বাজেট বরাদ্দ ছিল ৭.৯৭ ট্রিলিয়ন টাকা, যা আমেরিকান ডলারে আনুমানিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার। ওই বছর নিউইয়র্ক সিটির বার্ষিক বাজেট বরাদ্দ ছিল ১১২.৪ বিলিয়ন ডলার। ২০২৬ সালে নিউইয়র্ক সিটির প্রাক্কলিত বাজেটের পরিমাণ ১১৮.২ বিলিয়ন ডলার। এ তুলনা থেকে নিউইয়র্ক সিটির কর্মযজ্ঞ সম্পর্কে ধারণা করা যেতে পারে। সিটির এ বাজেটের অধিকাংশই আসে বিভিন্ন ধরনের ট্যাক্স ও সার্ভিস থেকে এবং প্রতিবছর যে ঘাটতি থাকে, তা পূরণ হয় ফেডারেল অনুদান থেকে। ২০২৫ সালে নিউইয়র্ক সিটির জন্য ফেডারেল অনুদানের পরিমাণ ছিল ৭.৪ বিলিয়ন ডলার, যা সিটির মোট বাজেটের ৬.৪ শতাংশ। ফেডারেল অনুদান মূলত শিক্ষা, সামাজিক সেবামূলক কাজ ও আবাসনের ক্ষেত্রে ব্যয় হয়।
জোহরান মামদানি নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় আশঙ্কা করা হয়েছিল নির্বাচনের আগে থেকেই মুসলিম ও অভিবাসীবিদ্বেষী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেহেতু তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন আপত্তিকর কথা বলছেন এবং তিনি যাতে মেয়র নির্বাচিত হতে না পারেন, সেজন্য তার প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী নিউইয়র্ক স্টেট গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোকে ভোট দেওয়ার জন্য সিটিবাসীকে প্রকাশ্যে আহ্বান জানিয়েছেন; অতএব মামদানি নির্বাচিত হলে তিনি সিটির ফেডারেল অনুদান বন্ধ করে তাকে বিপদে ফেলবেন। এমন ঘোষণাও দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। জোহরান মামদানি নিজেকে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট হিসাবে তুলে ধরায় ট্রাম্প তাকে ‘একজন শতভাগ খাঁটি কমিউনিস্ট উন্মাদ’ এবং ‘অকর্মা’, এমনকি ‘জিহাদি’ বলে বর্ণনা করতেও ছাড়েননি। অপরদিকে জোহরান মামদানিও ট্রাম্পকে ‘ফ্যাসিস্ট’ এবং তার প্রশাসনকে বলেছেন, ‘সম্পূর্ণভাবে কর্তৃত্ববাদী ও স্বেচ্ছাচারী’ এবং নিজেকে উল্লেখ করেছেন, তিনি হবেন ‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সবচেয়ে বাজে দুঃস্বপ্ন।’ ট্রাম্পের সঙ্গে মামদানির সাক্ষাতের আগে হোয়াইট হাউজের এক মুখপাত্র বর্ণনা করেছেন, ‘হোয়াইট হাউজে একজন কমিউনিস্ট আসছেন।’
গত ১৯ নভেম্বর দুজনের মধ্যে প্রথমবারের সাক্ষাৎ দুঃস্বপ্নের পরিবর্তে বরং অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ ছিল। নবনির্বাচিত মেয়রকে ট্রাম্প অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং বারবার বলেছেন, ট্রাম্পের নিজ শহর নিউইয়র্কের আরও বিকাশে তারা অভিন্ন লক্ষ্যে কাজ করবেন। মামদানির সঙ্গে বৈঠককে ট্রাম্প অত্যন্ত ফলপ্রসূ বলে বর্ণনা করেছেন। নির্বাচনি অভিযানকালে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট মামদানির যে নিন্দা তিনি করেছেন, তা থেকে ট্রাম্প ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেয়ে তার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। সাংবাদিকরা ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, মেয়র নির্বাচনের আগে তো আপনি তার সম্পর্কে নানা কথা বলেছেন; উত্তরে ট্রাম্প বলেন, “আমি অত্যন্ত যৌক্তিক একজন ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। আমার ‘মেইক অ্যামেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন (মাগা)’ কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তিনি সত্যিকার অর্থেই নিউইয়র্ককে পুনরায় মহান এক নগরী হিসাবে গড়ে তুলতে চান।” তিনি মামদানির নেতৃত্বের প্রতি তার আস্থা ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমি আস্থাবান যে, তিনি অত্যন্ত ভালোভাবে তার ওপর দায়িত্ব পালন করবেন, যা অনেক রক্ষণশীল মানুষকেও বিস্মিত করবে। আমি আমার সিটিতে আগের চেয়ে স্বচ্ছন্দে কাটাতে পারব। আমি চাই, তিনি ভালো কাজ করবেন এবং আমি তার কাজে পূর্ণ সহায়তা করব। তিনি নিউইয়র্ক সিটির দারুণ এক মেয়র হবেন।’
ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং জোহরান মামদানির মধ্যে অভিন্ন কিছু বিষয় আছে। তারা উভয়েই নিউইয়র্কের কুইন্স বরোর বাসিন্দা। ট্রাম্পের শৈশব কেটেছে জ্যামাইকা এস্টেট নেইবারহুডে, মামদানি বর্তমানে বাস করছেন কুইন্সের অ্যাস্টোরিয়ায়। দুজনই নিউইয়র্ক সিটির প্রশংসা করেন ও ভালোবাসেন। ট্রাম্প যদিও ম্যানহাটানে তার বিশাল নামফলক লাগানো আকাশছোঁয়া অট্টালিকায় এখন আর কাটান না, কিন্তু অনেক সংবাদ সম্মেলনে তিনি উচ্ছ্বসিতভাবে তার নিজ শহর নিউইয়র্কের কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমি যদি নজিরবিহীন সাফল্য লাভ করতে পারতাম, তাহলে এ সিটি অবিশ্বাস্য ধরনের সিটি হয়ে উঠত এবং আমি অত্যন্ত আনন্দিত হতাম।’ একপর্যায়ে প্রেসিডেন্ট এমনও বলেন, ভিন্ন ধরনের কোনো রাজনৈতিক জীবনে তিনি স্বয়ং নিউইয়র্কের মেয়র হতে পছন্দ করতেন।
জোহরান মামদানি এবং তার সমর্থকরা উৎকণ্ঠার মধ্যে ছিলেন যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়রের বৈঠক বিপর্যয়ে পর্যবসিত হয় কি না। মামদানির প্রতিপক্ষরাও ধারণা করেছিলেন যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক দিক থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিটির প্রথম মুসলিম ও ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট মেয়রের সৌজন্য সাক্ষাৎ সংগত কারণেই অত্যন্ত শীতল হবে এবং মামদানির বিরুদ্ধে টাম্প যে কট্টর অবস্থান নিয়েছিলেন, তিনি তার ওপর অটল থাকবেন। কিন্তু তা হয়নি দেখে মামদানির সমর্থক ও ডেমোক্রেটরা স্বস্তিবোধ করলেও ট্রাম্প-মামদানির সৌহার্দপূর্ণ বৈঠকে শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার রিপাবলিকান মহলে কিছুটা হতাশা পরিলক্ষিত হয়েছে। রিপাবলিকানঘেঁষা রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, ‘ট্রাম্প-মামদানি বৈঠকটি ছিল হোয়াইট হাউজে আমার দেখা সবচেয়ে অবিশ্বাস্য এক বৈঠক।’ খ্যাতিমান সাংবাদিক অ্যারন রুপার আরও বিস্মিত। কারণ ‘ট্রাম্প তার নিজ দলের কট্টরপন্থি কংগ্রেসওম্যান ম্যাজোরি টেইলর গ্রিনের সঙ্গে দ্বন্দ্বে লিপ্ত, অথচ নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়রের প্রতি তিনি ভালোবাসা পোষণ করছেন, যা আমি কল্পনাও করতে পারি না।’ যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক কৌশলবিদ, সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট এন্ট্রেপ্রেনার মাইক নেলিস, যিনি আমেরিকার ভবিষ্যৎ রাজনীতির আদল বদলে ফেলার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে এ উদ্দেশ্যে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার প্রস্তুতি নিয়েছেন এবং সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন, তিনি বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো দ্বিতীয় একজনকে পাওয়া যাবে না, যিনি জোহরান মামদানির দিকে আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে থাকবেন।’
জোহরান মামদানির প্রতি ট্রাম্পের নমনীয় সুর থেকে ধারণা করা যায়, ট্রাম্প এবং তার ‘মাগা’ কর্মসূচির অনুসারীরা তাদের ধর্ম ও বর্ণবিদ্বেষ, অভিবাসীবিরোধী অবস্থান এবং রাজনৈতিক বিদ্বেষ ছড়ানোর পুরোনো কৌশল থেকে আপাতত পিছু হটবেন, অন্তত নিউইয়র্ক সিটির ক্ষেত্রে। তবে রিপাবলিকান পার্টির বৃহত্তর রাজনৈতিক কৌশলে তাদের অভিবাসীবিরোধী অবস্থান এবং ১১ মাস পর অনুষ্ঠেয় মধ্যমেয়াদি নির্বাচন পর্যন্ত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার উদ্দেশ্যে তাদের প্রতারণামূলক রাজনীতির পথ থেকে তারা সরে যাবে না।
তবে আমেরিকান মূলধারার অধিকাংশ মিডিয়া হোয়াইট হাউজে ট্রাম্প-মামদানির সংবাদ সম্মেলনে পরস্পরের প্রতি ভ্রাতৃসুলভ আচরণ, প্রকাশভঙ্গির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে এমন আশাবাদও ব্যক্তি করেছে যে, উভয়ের বৈঠক প্রমাণ করে, ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান পার্টি একে অন্যের কাছ থেকে যদি যোজন যোজন দূরে অবস্থান না করে এবং বিভাজনের রাজনীতি পরিহার করে, অধিকতর অভিন্ন লক্ষ্যে কাজ করে, তাহলে ‘মাগা’ কর্মসূচির মতো ইতিবাচক কর্মসূচির সাফল্য অর্জনের পথে কোনো বাধা সৃষ্টি হবে না। কিন্তু জাতীয় প্রেক্ষাপটে রিপাবলিকান পার্টির শীর্ষ নেতাদের কর্তৃত্বপরায়ণ ফ্যাসিবাদী মনোভাবের কারণেই তা সম্ভব হবে না বলে অনেকে বিশ্বাস করেন।
একথা সত্য, নির্বাচনি অভিযান চলাকালে মামদানি নিউইয়র্কবাসীকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যেমন: সাশ্রয়ী মূল্যে ও ভাড়ায় আবাসনের ব্যবস্থা করা, বাসে বিনা ভাড়ায় যাতায়াতের নিশ্চয়তা, শিশু পরিচর্যা আরও উন্নত ও সম্প্রসারিত করা-এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বিপুল অর্থ প্রয়োজন। তিনি মেয়র নির্বাচিত হলে ট্রাম্প নিউইয়র্ক সিটির জন্য ফেডারেল অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়ার যে হুমকি দিয়েছিলেন, ট্রাম্পকে তুষ্ট করা ছাড়া এ হুমকি দূর করা সম্ভব ছিল না। নিউইয়র্ক সিটির ২০২৬ সালের প্রাক্কলিত বাজেট যদি ১১৮.২ বিলিয়ন ডলার হয়, তাহলে এতে অন্তত ৮.৫ বিলিয়ন ডলার ফেডারেল উৎস থেকে অনুদান হিসাবে পাওয়া অত্যন্ত জরুরি। ২০২৫ সালে ফেডারেল অনুদানের পরিমাণ ছিল ৭.৪ বিলিয়ন ডলার। মামদানি সিটির করপোরেট হাউজগুলোর ওপর প্রায় ১৫ শতাংশ ট্যাক্স আরোপ করার ঘোষণা দিয়েছেন, যা বর্তমান হারের প্রায় দ্বিগুণ। কিন্তু তাতেও ঘাটতি পূরণ হবে না বলেই ফেডারেল অনুদান সিটির জন্য অত্যাবশক। তিনি ট্রাম্পকে খেপিয়ে ফেডারেল অর্থ হাতছাড়া করতে পারেন না। অতএব, মেয়র হিসাবে নির্বিবাদে দায়িত্ব পালন করতে হলে তাকে ট্রাম্পের মুখাপেক্ষী হতেই হবে। তা না হলে নিউইয়র্ক সিটি অর্থাভাবে এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মুখে পড়বে এবং অনুরূপ পরিস্থিতিকে অজুহাত হিসাবে নিয়ে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসাবে তার এখতিয়ার কাজে লাগিয়ে নিউইয়র্ক সিটিকে ফেডারেল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিতে পারেন, যা তিনি কয়েক মাস আগে ওয়াশিংটন ডিসির ক্ষেত্রে প্রয়োগ করেছেন। মেয়র হিসাবে জোহরান মামদানি সিটিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে চাননি বলে ট্রাম্পের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলার কৌশল অবলম্বন করেছেন।
১ জানুয়ারি মুসলিম তরুণ জোহরান মামদানি সিটির মেয়র হিসাবে শপথ গ্রহণ করবেন। তার প্রধান উদ্বেগের বিষয় হলো, নিউইয়র্ক সিটির ৮৫ লাখ অধিবাসীর জন্য তার ওপর অর্পিত বিশাল দায়িত্ব। নিউইয়র্ক অভিবাসী, বিশেষ করে অবৈধভাবে বসবাসরত অভিবাসীদের জন্য ‘স্যাঙ্কচুয়্যারি সিটি’ হিসাবে পরিচিত। এখানে তাদের বসবাস, চলাফেরা, কাজ করা, বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করা ও তাদের সন্তানদের স্কুলে পড়াশোনার ওপর কোনো বিধিনিষেধ নেই। ট্রাম্প প্রশাসন সিটির ‘স্যাঙ্কচ্যুয়ারি’ স্ট্যাটাস বাতিল করতে চেষ্টার ত্রুটি করবেন না। ট্রাম্প মামদানিকে যে সুবিধা প্রদান করবেন, তার বিনিময়ে অবৈধ অভিবাসীদের আটক ও দেশ থেকে বহিষ্কার করার জন্য ফেডারেল ইমিগ্রেশন এজেন্টদের গোয়েন্দা ও পুলিশি সহায়তা দিতে সম্মত হবেন কি না, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন। এক্ষেত্রে মামদানির প্রতিবন্ধক হলো সিটির অভিবাসী কমিউনিটি, বিশেষ করে এখানকার বিপুলসংখ্যক অবৈধ অভিবাসী, যারা ভোটার না হওয়া সত্ত্বেও নিরাপত্তার আশায় জোট বেঁধে মামদানির পক্ষে নির্বাচনি অভিযানে নেমেছিল। ট্রাম্পের জালে পা দিয়ে মামদানি যদি নিউইয়র্ক সিটিকে অবৈধ অভিবাসীদের ধরপাকড়ে সায় দেন বা সহায়তা করেন, তাহলে তা হবে তার নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার শামিল। অভিবাসী কমিউনিটিতে তিনি নিন্দিত ও সমালোচিত হবেন এবং তার রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য তা বিরাট ক্ষতির কারণ হবে। মামদানি কি এ ঝুঁকি গ্রহণ করতে যাচ্ছেন?
আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু : যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সিনিয়র সাংবাদিক ও অনুবাদক
